সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দোয়ারাবাজারে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শুভেচ্ছা র‍্যালী ও পথসভা

মোহাম্মদ মামুন মুন্সি / ১১১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ মে, ২০২৩

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ

পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষদের সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আজ সোমবার (১মে) দোয়ারাবাজার সেক্রেটারি মাও সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায়, উপজেলা সভাপতি ডাঃ আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথির হিসেবে অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সহ সভাপতি লুৎফুর রহমান দুলাল,
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বি আর ডি বি চেয়ারম্যান ডা শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, কাজী ইউসুফ, ডাঃ কাজিম উদ্দিন, হাঃ আবু তাহের মিছবাহ সহ দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শ্রমিকবৃন্দ।

বক্তব্যে সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি লুৎফুর রহমান দুলাল বলেছেন, বিশ্বের লাখো কোটি মেহনতি শ্রমিকদের কাছে এই দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এদিন অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকদের শোষণের শৃঙ্খল ভাঙার প্রেরণা যুগ যুগ ধরে প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১৮৮৬ সালের আমেরিকার শিকাগো শহরে হে মার্কেটের সামনে উপযুক্ত মজুরি ও আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবিতে শ্রমিকরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর শোষকদের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১১ জন ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আরো ছয়জন শ্রমিককে হত্যা করে। আজ দেখা যাচ্ছে, শোষকরা ইতিহাসে বিলীন হয়ে গেছে। অপরপক্ষে আত্মত্যাগকারী শ্রমিকরা ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মেহনতি শ্রমিকসহ বিশ্ববাসী তাদের স্মরণ করছে। আমরা আত্মত্যাগকারী শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

তারা বলেন, আমাদের দেশে শ্রমিকরা সবচেয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত। প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। মালিক ও রাষ্ট্রের যৌথ জাঁতাকলে পড়ে তাদের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দু’বেলা কোনো মতে খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য তারা দিনরাত অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পৃথিবীতে আজ পুঁজিবাদের উন্মুক্ত চর্চা চলছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নেই। এক শ্রেণির মালিকরা সম্পদ বৃদ্ধির নেশায় মগ্ন হয়ে আছে। ফলে ১৮৮৬ সালে শোষণের যে চিহ্ন ছিল আজকের দিনে তার রূপ বদল হলেও ভেতরের ভয়াবহতা ঠিকই থেকে গেছে। আজও শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়। এখনো শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। এখনো শ্রমিকরা শ্রেণি বৈষম্যের নামে অবহেলা ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে। সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের ন্যূনতম মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ শ্রমিকের রক্ত-ঘামে রাষ্ট্রের চেহারার উন্নয়ন ঘটছে। তা সত্ত্বেও রাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে নিশ্চুপ।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল খাতের শ্রমিকদের সমান অবদান আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা যৎ সামান্য অধিকার পেলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শূন্যের ঘরে রয়ে গেছে। অপর দিকে নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের মজুরির মাঝে বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে। আমরা সমকাজে নারী ও পুরুষের মজুরি সমান চাই। একইসাথে সকল খাতের শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমজীবী মানুষদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীর প্রতি নেতৃদ্বয় আহ্বান জানান। একইসাথে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন, ক্রাফট ফেডারেশনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য আহ্বান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

বিভাগের খবর দেখুন