বিশেষ প্রতিনিধি:
শিলচরে একটি ভিসা আবেদন সংগ্রহ কেন্দ্র খোলায় সিআরপিসিসহ বরাক উপত্যকা ও দক্ষিণ অসমের বাংলাদেশ ভ্রমণ ইচ্ছুকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে বরাক উপত্যকা তথা দক্ষিণ অসমের জনসাধারণের সুবিধার্থে বাংলাদেশের একটি ভিসার আবেদন কেন্দ্র খোলায় দীর্ঘ দিনের দাবি অবশেষে পূরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র খোলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারসহ গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার (মিশন প্রধান) রুহুল আমিনকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি (সিআরপিসি)।
সিআরপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সাধন পুরকায়স্থ এক বিবৃতিতে বলেছেন,শিলচরে বাংলাদেশের একটি ভিসা কেন্দ্র খোলার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল এই সংগঠন। বাংলাদেশের গুয়াহাটিস্থ সহকারী হাইকমিশনারকে এ নিয়ে বারবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।
গত বছর সিলেটে অনুষ্ঠিত শিলচর-সিলেট উৎসবে একই দাবিতে সিআরপিসির পক্ষ থেকে সাধন পুরকায়স্থ ও সাংবাদিক মিলন উদ্দিন লস্কর বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের হাতে আরও একটি স্মারকলিপি দেন। তৎকালীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এই দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে এব্যাপারে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
শিলচরে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র খোলার ব্যাপারে ইন্দো- বাংলা মৈত্রীর সচিব শুভদীপ দত্ত তিনিও দীর্ঘ দিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছেন। এখানে ভিসা আবেদন কেন্দ্র খোলায় তিনিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে,২০২৩ সালে তামাবিল (ডাউকি) স্থলবন্দর সফর কালে দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে আলাপ কালে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক নূরুল ইসলাম শিলচরে ভিসা সংগ্রহ কেন্দ্র চালুর বিষয়ে তিনি দিল্লীর হাইকমিশনারের নিকট আহবান জানিয়েছিলেন।
এদিকে চলিত বছরের ২৮ মার্চ ২০২৪ গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার (মিশন প্রধান) রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলিত মার্চ মাস থেকে শিলচর গোলদিঘী মিউনিসিপ্যাল মল প্রেমতলা পয়েন্ট সেন্ট্রাল রোড শিলচর এবং আসামের বঙ্গাইগাঁও আরহাম টাওয়ার এবং গুয়াহাটিস্থ এক্সোটি গ্রিনস আরজি বড়ুয়া রোড এলাকায় পৃথক আরেকটি ভিসা সংগ্রহ কেন্দ চালু করা হয়েছে।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.