সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মালিনীছড়া থেকে মেম্বারের ক্ষমতায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

Coder Boss / ৩১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০

আলমগীর হোসেনঃ মেম্বার জুটের ক্ষমতা। মালনীছড়া চা-বাগানে ও লাক্কাতুড়া চা বাগানে শ্রমিকদের একজন নেতা এবং তার ছেলে ক্ষমতার ব্যবহার করে অবৈধ বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ইজারা ছাড়াই সিলেটের মালনীছড়া বালুমহল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছেন সরকারের রাজস্ব প্রধান ছাড়াই প্রভাব বিস্তার করে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ট্রাক বালু বিক্রি করছেন। বিভিন্ন  সূত্রে জানা যায় আওয়ামীলীগের এক শীর্ষ নেতার সাথে তার সম্পর্ক থাকার কারণে স্থানীয় কেউই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করছেন না ভয়ে।

গেলো কয়েকমাস আগে কয়েকটি প্রভাবশালী অনলাইন পৌর্টাল পত্রিকার সাংবাদিক বালু উত্তোলনের স্থানটি পরিদর্শন করেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তোলা হয়। এই সংক্রান্ত কোন অনলাইন নিউজ প্রকাশ করা হয় নি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জেলা প্রশাসক অফিস থেকে অনুমতি এনেছেন। তবে এবিষয়ে কোন কাগজ বা প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। তবে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন বিষয়টি।

এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায় কোন দরপত্র বা ইজারা আহবান করা হয় নি বালু উত্তোলনের জন্য। জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে বালু বিক্রি করছে। তবে একটি প্রশ্ন থেকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বা জেলাপ্রশাসক চুপ কেন?

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় শ্রমিকদের মাধ্যমে এবং এসব বালুর তদারকি করেন তার ছেলে রনি।
মালনী ছড়া চা বাগান এবং একটি হাইস্কুল, মেইন রোডের সাথে ছোট ছড়া থেকেই প্রতিদিন বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানা যায় সে নাকি ঘরের জন্য বালু উত্তোলন করছে সে সব সময় বালু উত্তোলন করে না কিন্তু এলাকাবাসী এবং সরেজমিনে দেখা যায় বালু উত্তোলন চলছে প্রতিদিন। প্রশ্ন হল একটি মেইন রোডের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছে কিন্তু প্রশাসন চুপ কেন।

এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলাম
আব্দুল করিম কিম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট। তিনি বলেন কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের পূর্বে কয়েকটি শর্ত এবং জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করতে হবে। আর তা না হলে এটি আইনি ভাবে অবৈধ এবং প্রশাসন যেকোন ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তি বা জরিমানা করতে পারে। অত্রএলাকার পরিবেশ নষ্ট এবং রাস্তাঘাট ব্রীজের কোন সমস্যা হলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না মেম্বার এবং মেম্বারের ছেলে রনির দাপটে কি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এভাবেই চলবে। নাকি পরিবেশ মন্ত্রণালয় এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন