জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরে ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে তাদের ৫শত একর নিজস্ব জমি ভূমি আফনিরবন ও হিংগুড়ির কোন এলাকায় বোরা ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রায় ৪০লক্ষ টাকা ব্যয়ে বোরা বাধ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি নুরুল হক নামের এক ব্যক্তি। বাঁধের কারণে পানি আটকে তার আমন ফসলের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মর্মে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে পরির্দশনের নির্দেশ দেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।
নির্দেশের প্রেক্ষিতে সোমবার (১২অক্টোবর) সরেজমিন পরিদর্শনে যান জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোয়েব আহমদ, ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হানিফ আলী সহ কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। পরিদর্শন কালে কৃষকরা জানায় দীর্ঘ দিন হতে ছোটারী সেনগ্রামের ৭৩টি পরিবারের সদস্যরা একটি বাঁধের অভাবে বোরো আবাধের জায়গাটি চাষাবাঁধের আওতায় নিয়ে আসতে পারছে না। ফলে জায়গাটি অনাবাদি পড়ে থাকে। স্বাধীনতার পরবর্তী এই প্রথম বার ৭৩টি কৃষক পরিবার নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪০লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে বোরো ধান রোপনের আওতায় নিয়ে আসে। ফাল্লী বিল এর ইজারাদার কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পনা পূর্বক কৃষকের কাজে বাঁধা হয়েছে। তারা আরও বলেন অভিযোগকারীর বোরো বাঁধের ভিতরে মাত্র ৩৩শতক এবং আরেক ব্যক্তির ৩৬শতক ভূমি এবং ছোটারী সেনগ্রামের ৬বিঘা জমি রয়েছে যাহা বোরো ধান চাষ যোগ্য ভূমি। বৃহত্তর জৈন্তাপুরে স্বউদ্যোগে এই প্রথম বার বিশাল জায়গা জুড়ে বোরো ধান চাষাবাধ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন মাঠ পরিদর্শন করে প্রতিবেদককে জানান, নিজ উদ্যোগে ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা উপজেলার কৃষি বিভাগে বোরো ধান চাষে একধাপ এগিয়ে নিবে। এলাকাটি আমন ফসলী নয়, প্রকৃত অর্থে বোরো ফসলের এরিয়া। উভয়পক্ষকে ভূমির কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। কৃষদের কাজে ছায়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পরিদর্শন কালে তিনি বৃক্ষের চারা রোপন করেন। বোরো ধানের জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস এই সংগঠনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান। প্রজেক্টটি বাস্তাবায়ন করলে বাকী এলাকাগুলো বোরো ধান চাষের আওতায় চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।