সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইন্দিরা গান্ধী’র ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

Coder Boss / ৫১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১

সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর,ভারতের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।এই ঘটনা ভারতের ইতিহাসে ” ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড ” নামে পরিচিত। শ্রীমতী গান্ধীর দুই শিখ দেহরক্ষী সৎবন্ত সিংহ ও বিয়ন্ত সিংহ অপারেশন ব্লু স্টার চলাকালীন “স্বর্ণমন্দির” নামে পরিচিত শিখদের সর্বোচ্চ তীর্থ হরমন্দির সাহিবে সেনা অভিযানের প্রতিশোধকল্পে তাকে হত্যা করে।
আইরিশ টেলিভিশনের জন্য নির্মীয়মান একটি তথ্যচিত্রের প্রয়োজনে ব্রিটিশ অভিনেতা পিটার উস্তিনভকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল শ্রীমতী গান্ধীর। নতুন দিল্লির ১ নং সফদরজঙ্গ রোডস্থ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্যানপথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। সৎবন্ত ও বিয়ন্ত সিংহের দ্বারা রক্ষিত একটি ছোটো দরজার ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় তারা সরাসরি ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে। বিয়ন্ত সিংহ ধার থেকে তিন রাউন্ড এবং সৎবন্ত সিংহ নিজের স্টেনগান থেকে তার প্রস্টেট লক্ষ্য করে ত্রিশ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। অন্যান্য দেহরক্ষীরা বিয়ন্তকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করে এবং সৎবন্তকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তী চার দিনে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনায় প্রাণ হারান সহস্রাধিক শিখ। এই ঘটনা ঘটে মূলত দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। ইন্দিরা-হত্যার তদন্তের জন্য গঠিত জাস্টিস ঠক্কর কমিশন ষড়যন্ত্রের জন্য পৃথক তদন্তের পরামর্শ দেয়। সৎবন্ত সিংহ ও ষড়যন্ত্রকারী কেহার সিংহ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৮৯ সালের ৬ জানুয়ারি তাদের দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়। সৎবন্ত সিংহই শেষ ব্যক্তি যাকে দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড ভারতের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়৷

ইন্দিরার জন্ম ১৯১৭ সালে৷ ৩৮-এ যোগ দেন অবিভক্ত কংগ্রেস দলে৷ বিয়ে ১৯৪২-এ সাংবাদিক ও রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীকে৷ বিয়ের পরই জেলে যান ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে৷ ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিত্ব ছিল কোমলে কঠোরে অনন্য৷ বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে তাঁর ভূমিকার কথা দুই বাংলার মানুষ চিরদিন মনে রাখবে৷ শিল্পোন্নয়নে ইন্দিরা গান্ধীর নীতি ছিল নেহেরু অনুসৃত সমাজতান্ত্রিক পথ৷ দেশে খাদ্যাভাবের মোকাবিলা করতে আনেন সবুজ বিপ্লব৷ নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতকে পরমাণু শক্তিধর করতে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালান ১৯৭৪ সালে৷
দেশে জরুরি অবস্থা জারি ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়৷ তাঁর জনপ্রিয়তা পড়ে যায় দ্রুত৷ স্বৈরাচারী ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় নিন্দিত হন সর্বস্তরে৷ তা সত্ত্বেও তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যকাল আজ পর্যন্ত বিশ্বে দীর্ঘতম৷

২০১১ সালের ২৫ জুলাই ঢাকায় অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্মাননা’ তুলে দিয়েছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

বিভাগের খবর দেখুন