একটা মেয়ে অন্ধত্বের কারনে পৃথিবীর
সব সুন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত ছিল। সব সময় সে
মুখ ভার করে থাকত। কিন্তু এত কষ্টের মাঝে ও
কিছুটা সময়ের জন্য সে সুখী থাকত। কারন সে একটা ছেলের সাথে ফোনে কথা বলতো। ছেলেটি সবসময় মেয়েটিকে হাসিখুশিতে রাখার চেষ্টা করত এবং তার জীবনের অানন্দের মুহুর্তগুলো শেয়ার করত। কিন্তুু ছেলেটি জানত না যে মেয়েটি অন্ধ। একদিন ছেলেটার
ইচ্ছা হল মেয়েটিকে দেখার এবং সে দেখতে চাইল।কিন্তু মেয়েটি তার সাথে দেখা করতে চাইল না।নিজের অন্ধত্বের কারনে ছেলেটিকে হারাবে জেনেও অনেক অনুরোধের পর মেয়েটি ছেলেটির সাথে দেখা করল। মেয়েটাকে দেখার পর ছেলেটি খুব মন খারাপ করল। কিন্তুু এ খারাপ লাগার পর থেকে সে মেয়েটিকে আবারও বেশি ভালোবাসতে শুরু করল। এরই মধ্যে ঐ মেয়েটির পরিবার একজন ডোনার পেলো। তারপর মেয়েটির চোখের অপারেশন হল। আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠল সে যখন অায়নার সামনে গেল তখন সে দেখল, সে এতটাই সুন্দর যে, পৃথিবীর সকল সুন্দর্যকে সে হার মানাতে পারে। সে পৃথিবীর সকল সুন্দর্যকে দেখতে শুরু করল। এরই মধ্যে তার ঐ ছেলেটির সাথে অাবার ফোনে কথা হল এবং সে ছেলেটিকে দেখতে চাইল। কিন্তুু ছেলেটি মেয়েটির সাথে
অার দেখা করতে চাইল না। কারন ছেলেটি ও তার অতীতের মত অন্ধ। মেয়েটির অনেক কান্নাকাটির পর ছেলেটি অবশেষে তার সাথে দেখা করতে চাইল। দেখা হওয়ার পর মেয়েটি ছেলেটিকে দেখে অবাক হয়ে গেল এবং খুব ভেঙ্গে পরল। মেয়েটি মন খারাপ করে চলে গেল এবং খুব কান্নাকাটি করল, কিন্তুু সে ছেলটিকে অার ফোন দিল না। এতে ছেলেটির মন খুব খারাপ হল এবং সে খুব কষ্ট পেল। পরদিন সকালে ছেলেটির মোবাইল থেকে মেয়েটির মোবাইলে একটি মেসেজ এল ” অামি অাজ তোমার থেকে অনেক দুরে চলে যাচ্ছি,তবে তোমার কাছে অামার একটাই অনুরোধ, অামার চোখ দুটি দিয়ে তুমি কখনো
কেঁদোনা “।।।।।।।।কারো প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে
তার প্রতি ব্যবহার টাও পরিবর্তন
হয়ে যায়।।।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।।
MG.