জাকির হোসেন, বরিশালঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশার হত্যার কারন উৎঘাটন হয়েছে। আসামীর স্বীকারোক্তি মুলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তথ্য জানা যায়। মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরী আয়েশা আক্তার (১২) কে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে নিহত কিশোরীর বাবা দুলাল লাহাড়ী বাদী হয়ে প্রতিবেশী সিদ্দিক মীর, তার ছেলে সাব্বির মীর ও সাইদ মীরকে নামধারী এবং আরও দু’জনকে অজ্ঞতনামা আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই তিন আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় সিদ্দিক মীরের স্ত্রী হনুফা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আসামিদের দেওয়া স্বীকারক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ১১টার দিকে আয়শা আক্তার প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে প্রতিদিনের মত টিভি দেখতে যায়। টিভি দেখা শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় সিদ্দিক মীরের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরের পিছনে খালের মধ্যে চুবিয়ে আয়শাকে হত্যা করে সাব্বির। পরের দিন বুধবার সকালে সিদ্দিক মীর বাড়ির পাশের ছোট খালে আয়শার লাশ জালের সাথে পেচানো অবস্থায় দেখতে পায় এবং সে ধারণা করে হয়তো তার ছেলেরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে।পরে সিদ্দিক ছেলেদের বাঁচাতে লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে পায়ে বালতি ও মেয়েটির ফ্রকের ভিতরে ইট ঢুকিয়ে বাড়ির অদূরে বড় খালে ডুবিয়ে দেয়। এসময় সিদ্দিক মীরের ছোট ছেলে সাইদ তার বাবাকে সহায়তা করে। তিনি আরও জানান আয়শা প্রতিবেশী সিদ্দিক মীরের ঘরে প্রতিদিন গিয়ে টিভি দেখতো। আয়শার সঙ্গে একত্রে সাব্বিরও টিভি দেখতো। এ নিয়ে সাব্বিরের মা হনুফা বেগম প্রতিনিয়ত তাকে গালমন্দ করে। আয়শার জন্য গালি শোনায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির জানায়।প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আয়েশা আক্তার। অনেক খোঁজাখুজির পরে বুধবার সকালে কিশোরীর একটি জুতা খুঁজে পায় তার স্বজনরা। জুতার সূত্র ধরে সিদ্দিক মীর, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নেয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীরা।