শেখ আবু মুছা সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
নতুন করে আরও ৩০জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাতক্ষীরার ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। সাতক্ষীরার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে জ্বর সর্দি কাশিসহ করোনার উপসর্গের রোগী রয়েছে। অথচ পরীক্ষার বিষয়ে উদাসীন রয়েছে অনেকেই। কোন কোন বাড়িতে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পরও লকডাউন করা হয়নি। আবার কোন বাড়িতে থেকে শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া আর কাউকে পরীক্ষা করা হয়নি।
জেলাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যাটা জানা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, বর্তমানে সাতক্ষীরার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই করোনা উপসর্গের রোগী রয়েছে। এর অধিকাংশই সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি মনে করে বাড়িতেই বসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই করোনা উপসর্গ বুঝেও বাড়ি লকডাউনের ভয়ে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন না। অনেকেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। বিধায় হাসপাতালে নমুনা দিতেও অনীহা রয়েছে অনেকের।
সোমবার ২১ জুন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০ জন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩৫ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩২ জন। এতে মানুষের আতংক থাকলেও স্বাস্থ্য বিধি মানতে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা দিন দিন বেড়ই চলেছে এখানে। অথচ প্রথম দিনে করোনা মুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা ছিলো প্রথম সারির দিকে। কিন্তু বর্তমানে আক্রান্ত মৃতুর দিক দিয়ে সাতক্ষীরা এখন প্রথম সারিতে। গত ১২ জুলাই পর্যন্ত ওই সপ্তাহে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সাতক্ষীরা জেলায় সর্বোচ্চ ছিল। একমাত্র জেলা যেখানে সাপ্তাহিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার শতভাগের বেশি ছিল।