সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের হলদির হাওরে গতকাল বুধবার দুপুরে নৌকাডুবিতে মা কাঞ্চনা আক্তার (৪৫) ও ছেলে কাঞ্চন মিয়া (১৪) নিখোঁজ হন। হাওরের মধ্যবর্তী স্থানে জাল ফেলে গতকাল বেলা পৌনে তিনটার দিকে মা কাঞ্চনার লাশ উদ্ধার করা হয়।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে একই হাওরের উত্তরপাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় থাকা ছেলে কাঞ্চনের লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ভাটগাঁও কান্দাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা কাঞ্চনা আক্তার (৪৫) ও তাঁর ছেলে কাঞ্চন মিয়া (১৪), একই গ্রামের রফিকুল মিয়ারর ছেলে সোহান মিয়া (৮), মতলিব মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৬) গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হলদির হাওর লাগোয়া গোমাই নদীর পাড়ে থাকা কচু গাছের লতা তুলতে যায়।লতা তুলে নিজেদের বাড়ি ফেরার পথে ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হলদির হাওরে প্রবল ঢেউয়ের কারণে তাদের ব্যবহৃত ডিঙি নৌকাটি হাওরে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় সোহান ও সাদিয়াকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও কাঞ্চনা ও তাঁর ছেলে কাঞ্চন ওই হাওরের পানিতে ডুবে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।ওইদিন বেলা পৌনে তিনটার দিকে ধর্মপাশা থানা পুলিশের সহায়তায় হাওর থেকে মা কাঞ্চনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।একই হাওরের উত্তরপাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে ছেলে কাঞ্চন মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, মা কাঞ্চনার লাশ গতকালই উদ্ধার করা হয়েছ। আর আজ সকাল ছয়টার দিকে একই হাওরের উত্তরপাশ থেকে ভাসমানন অবস্থায় থাকা ছেলে কাঞ্চনের লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।বিষয়টি ইউএনএ স্যার ও ওসি সাহেবকে জানিয়েছি।