চ্যানেল আই-এর কাফেলা ও সত্যের পথে অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় উপস্থাপক আলহাজ্ব আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহঃ)- গত ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়ছিল।
উনি এমন একজন সুন্নিয়াতের বীর সৈনিক ছিলেন। যিনি লাখো কোটি সুন্নি মুসলমানদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়াছিলেন। ফারুকী রহঃ সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল করতেন, সুন্নিয়াতের খেদমত করতেন। সুন্নিয়াতের পক্ষে যুক্তিযুক্ত প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করতেন। তার মতো সাহসী কথা বলার মতো আলেম সুন্নিদের মধ্যে খুবই কম ছিলো।
তিনি ছারছীনা মাদরাসার ছাত্র ছিলেন, এলেমে শরীয়তের পাশাপাশি এলমে তরিকার সবক নিতে ছারছীনার মরহুম পীর সাহেব শাহ আবু জাফর মোহাঃ ছালেহ রহঃ এর কাছে বায়াত গ্রহন করেন। প্রতিবছর ছারছীনার মাহফিলে যেতেন ও বর্তমান হযরত পীর ছাহেব আলহাজ্ব মাওঃ শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ (মাঃ জিঃ য়াঃ) নির্দেশে আলোচনা করতেন। তার আলোচনায় সারা বাংলার মানুষ মুগ্ধ হতো। ছারছীনার সাথে তার আত্মার সম্পর্ক, তিনি ছারছীনা দরবার শরীফকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে মদিনার জ্যোতি নামে যা চ্যালেন আই তে ধারাবাহিক কয়েক পর্বে প্রচারিত হয়।
ফারুকী রহঃ মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে সত্য-মিথ্যা দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি জনসম্মুখে এজিদি ইসলাম ও হোসাইনি ইসলামের পরিচয় তুলে ধরতেন। এজন্যই এজিদের অনুসারীরা তাঁকে দেখতে পারত না। তিনি মাহফিলে একটা কথা বলতেন, ইসলাম দু’ভাগে বিভক্ত – একটা হোসাইনি ইসলাম আরেকটা এজিদি ইসলাম।
আজ থেকে ৬ বছর আগে ফারুকী রহঃ কে হত্যা করা হয় এখন পর্যন্ত এ নির্মম হত্যার বিচার করা হয়নি।
সুন্নীয়তের এই ক্লান্তিলগ্নে শহীদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং হুজুরের বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মাননীয়_প্রধানমন্ত্রীর_নিকট “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত” অর্থাৎ সুন্নীজনতার আকুল আবেদন যে, আল্লামা শহীদ নুরুল ফারুকী হুজুরের হত্যাকারীদের বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।
শহীদ নুরুল ইসলাম ফারুকী রহিমাহুল্লাহকে,
এদেশের মুসলিমজনতা কোন দিন ভুলবে না। আল্লাহ তায়ালা ফারুকী রহিমাহুল্লাহকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। আমীন
সৌজন্য- মোঃইকবাল হোসেন মাহদী
স্টাফ রিপোর্টার কুলাউড়া।