রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেতে আওয়ামী প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু, তালিকায় রয়েছেন জামাত বিএনপি পরিবারে সদস্য এমনকি রাজাকার সন্তান ও নৌকার মাঝি হতে চায়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস সুত্রে প্রকাশিত খবরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে মে মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্টিত হবার কথা রয়েছে । এ খবর জানার পর থেকে ওসমানীনগর উপজেলার বিশেষ করে দয়ামীর ইউনিয়নে শুধুমাত্র আওয়ামী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে প্রার্থীরা লোকজনের পাশে গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন।
সরজমিনে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে জানা যায়, যে ১৫-২০ জন নৌকা প্রতীক’র জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন তাদের মধ্যে দুই একজন ছাড়া বাকী প্রার্থীদের নিজ এলাকাতেও তেমন অবস্থান নেই। কিছু স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল টাকার বিনিময়ে ও-ই সকল প্রার্থীদের গুনগান প্রচার করছে। কেউ কেউ জাগায় বে-জাগায় ব্যানার পেস্টুন লাগিয়ে ছাপিয়ে ফেলেছেন। এ নিয়ে উচ্চ মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের বেলায় উল্টো। শুধু দয়ামীর ইউনিয়ন নয় বরং পুরো ওসমানীনগরে বিএনপি ঝিমিয়ে পড়ার মতো। রাজনৈতিক কোন কার্যক্রম নাই বললেই চলে।
দয়ামীর ইউনিয়নের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেছেন, বেশি সম্ভব প্রতীকেই নির্বাচন হবে। আর প্রতীকে নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বর্তামান দয়ামীর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস টি এম ফখর উদ্দিন। উনি থাকতে আর কোন প্রার্থী ধানের শীষ চাইবেও না।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ মে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এস টি এম ফখর উদ্দিন ৪৪৩৯ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিনিধি নুর উদ্দিন আহমদ নুনু মিয়া ৪৩০১ ভোট পান। নৌকা সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ৪১৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন।