আব্বাস,লাখাই,হবিগঞ্জঃ
লাখাই উপজেলায় ৫নং করাব ইউপির করাব রহমানিয়া দাখিল মাদরাসার চার তলা ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকার কর্তৃক এমপিওভুক্ত মাদরাসায় চার তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলে, করাব রহমানিয়া দাখিল মাদরাসায় একটি চার তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এরই ফলে ২০২০ইং সালের জানুয়ারিতে ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেয় ঢাকার এক কন্ট্রাক্টর। নতুন ভবন নির্মাণের কাজে শ্রমিক ও ম্যানেজারকে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করার জন্য শ্রেণি কক্ষে জায়গার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামের লোকজন ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের খুশির সীমা নেই নতুন ভবনের কাজ আরম্ভ হওয়ার ফলে। কাজের শুরুতে কন্ট্রাক্টর সোহেল মিয়া নামের একজন ম্যানেজার ও আব্দুল হক নামের এক রাজমিস্ত্রীকে নিয়োগ দেয় এবং জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অফিস থেকে সজল নামের এক ইঞ্জিনিয়ারকে কাজ তদারকির জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এক মাসের মধ্যে তারা ভবনের বেইজ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে তারা কাজ বন্ধ করে অন্যত্র চলে যায়। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা করোণাকালীন সমস্যার কথা বলে লোকজনের কাছে উপস্থাপন করে। মার্চ মাসের পর থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকে এবং আগস্ট মাসে এসে তারা পুণরায় কাজে হাত দেয়। নতুনভাবে ভবনের কাজ আরম্ভ করার পর থেকে ভবনের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। তারা গ্রেড ভিমে বি- গ্রেডের রড ও ছয় মাসের আগের নস্ট হয়ে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করতে থাকলে মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব উদ্দিন বাধা প্রদান করেন। কিন্তু লম্পট ম্যানেজার সোহেল মিয়া ও আব্দুল হক রাজমিস্ত্রী বলে যে, সিডিউলে যা আছে তা দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এই বাধা বিপত্তির ভিতরেই গ্রেড ভিম ঢালাই করে দেয়। কলামে ব্যবহৃত রডের ব্যাপারে মাদরাসার শিক্ষকগণ কথা বলে বাধা প্রদান করলে তারা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অফিস থেকে রিপোর্ট এনে দেখিয়ে কাজ যথাযথভাবে করবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ না কাল বিভিন্ন টালবাহানার ভিতর দিয়ে তারা তিনটা কলাম ব্যাতিত রাতের আধারে ঢালাই করে ফেলে। এরই জের ধরে গতকাল গ্রামের মুরুব্বিয়ান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কামাল অত্র প্রতিষ্ঠানের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাজ বন্ধের জন্য সরকারি ইঞ্জিনিয়ার সজলকে নির্দেশ প্রদান করেন। এই কর্মকাণ্ডের ফলে করাব গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকালের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ ভোরে মাদরাসা থেকে টাক বোঝাই করে কয়েক টন দুই নম্বর রড ও সিমেন্ট এবং পুরাতন ইট স্থানান্তর করে কন্ট্রাক্টরের লোকজন। এলাকাবাসীর দাবি এই ভবন নির্মাণের কাজে যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।