চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ- শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পাহাড়ি ও শিল্প নগরী এলাকা চুনারুঘাট উপজেলা ও ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে দেশের আবহাওয়া । দেশে গরম বিদায় নিয়ে আসছে শীতের উষ্ণতা দিনে গরম রাতে শীত আবার দিনে যেমন বৃষ্টি আবার রাতে গরম অনুভূত হচ্ছে শেষ ঠাণ্ডা । মাত্র এই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ওঠানামা করে ৭-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ, তাপমাত্রার এই আচমকা তারতম্যের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না মানুষের শরীর। তাতেই গড়বড় করছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি মানবের । সেই ফাঁকে হামলা চালাচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া। শ্বাসনালীর সংক্রমণে কাবু হচ্ছে মানুষের দেহে । এর ফলে দেখা যাচ্ছে বাড়ী ঘরে মানুষ সর্দি-কাশি- হাঁচি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতি দিন মানুষ । ফলে দেখা দিয়েছে চরম আতংক। একদিকে সাধারণ মানুষ দারিদ্র অন্য দিকে পরিবারের অনেক অসুস্থ, অসুস্থ থাকার কারনে জীবন যুকি সাধারণ লোকদের বাড়ছে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার আর্তনাদ । তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ভাইরাস সংক্রমণ দির্ঘ দিন থাকবে, এবং ঔষধ আবিষ্কারে পরে হয়তো সবাই স্থির হবে, তাই আপনারা আতংকিত না হয়ে, সচেতনতা অবলম্বন করবেন বা, আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের গরম বেশি সময় ধরে থাকলেও তার একটা ধারাবাহিকতা ছিল বৃষ্টি । তাই মানুষের শরীর হয়ে যায় খোশমেজাজে শরীরে সঞ্চারিত পদার্থ লবণ হিমুগুবিন কয় পরিনত হয়ে যায়,তাই পানির পরিমান খাওয়া বাড়াতে হবে, এবং সুস্থ থাকতে সচেতন হতে হবে। কিন্তু দিনের ঋতু পরিবর্তন হওয়াতে হল গরমের বিদায় নিতে শুরু করে শীতের সংমিশ্রণ দেখা দিয়েছে। বিদায়বেলা সকাল-সন্ধ্যায় গরম লাগলেও বেলা বাড়তেই অনুভূত হচ্ছে প্রচন্ড ঠাণ্ডা আবার শীত সাথে মধ্যে কিছু সময় গরম । দুপুর-বিকাল ও সন্ধ্যা-রাতের মধ্যে সময়ের যা ব্যবধান, তার তুলনায় বেশি আবহাওয়া বা তাপমাত্রা, তাপমাত্রায় বিকাল ৪ টায় ১৮-২২ ডিগ্রিই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা-আটটায় নেমে আসছে ২০ ডিগ্রিতে। রাতে আরও কমছে।
এদিকে বায়ুদূষণ আজকাল যেহেতু এমনিতেই শরীরকে কাবু করে রেখেছে, তাই সামান্য হামলাতেই ভেঙে পড়ছে রোগ প্রতিরোধের দেয়াল।
আক্রান্তদের একজন বলেন, বলেন, গত ৫ দিন ধরে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে বাসায় অবস্থান করছি সঙ্গে হাঁচি-কাশি । জ্বর আজ বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সাধারণ জ্বর-সর্দি হয়েছে।তাই তাপমাত্রা শরীরে বেশির কারণ প্রতি বছর এই সময়টাতে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জ্বর-সর্দি হয়। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমার ছেলের জ্বর-সর্দি কমেছে। এখন আমার জ্বর বেশি হওয়াতে পরিবারের চাপে ডাক্তার দেখাতে এসেছি।
এদিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এসি-ফ্রিজ-গিজারের মতো শরীরেও থাকে থার্মোস্ট্যাট। সবসময়ে তা শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ধরে রাখতে চায়। বাস্তব হলো, আচমকা বাইরের তাপমাত্রার বাড়াবাড়ি বদল হলে শরীরের থার্মোস্ট্যাট যথাযথ কাজ করে না। তখনই ইমিউনিটি তার কর্তব্যে গাফিলতি করে ফেলে, হয় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে (তখন অ্যালার্জির শিকার হয় শরীর) অথবা সক্রিয়তা কমে যায় (তখন জীবাণু সংক্রমণের শিকার হয় শরীর)। বর্তমান সময়ে দ্বিতীয়টিই বেশি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে চুনারুঘাট মেডিকেল হাসপাতালের ডাঃ রা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সময়টিতে জ্বর হবে হাঁচি কাশি এটা স্বাভাবিক হবে । জ্বর হলে ভয়ের কিছু নেই সচেতন হন, ডাঃ দেখাবেন, অসুস্থ হলে হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রধান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রামণে অনেকই আক্রান্ত হচ্ছে। আবার সিজনাল জ্বর-সর্দিতে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। তবে যে কোন রোগকে হালকা মনে না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য ও পরামর্শ দেন তিনি। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই।
প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যদি জ্বর-সর্দি না কমে তাহলে করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করানো উচিৎ বল মনে করেন।
দায়িত্ব রত হাসপাতালের
ডাঃ বলেন, হঠাৎ অত্যধিক গরম ও মাঝে-মধ্যে ছোট কনা বৃষ্টি।
এ গরম-ঠাণ্ডা করণে অনেকের জ্বর হচ্ছে। যার কারণে মানুষ না বুঝে আতঙ্কে আছে। যেহেতু এখন করোনার সময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ার কথা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকরে পরামর্শক্রমে ঔষধ সেবন করলে জ্বর শেষ হয়ে যাবে। এই জ্বর ৩ থেকে ৪ দিনের ভিতরে শেষ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে কোনো জ্বরকেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিৎ নয় এবং জ্বর হলে ঘর থেকে বের না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন বলেন, দেশের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ইদানীং সর্দি- জ্বর আক্রাত বাড়ছে মানুষের । তবে করোনাভাইরাসের ভয় কাজ করছে অনেকের মাঝে। করোনাভাইরাস সংক্রামণ হয়েছে মনে করে অনেকেই করোনা টেস্ট করাচ্ছেন। কিন্তু পরীক্ষার পর দেখা যায় করোনা নেগেটিভ। স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি হয়েছে। তাই আতংকিত না হয়ে সচেতন হয়ে নিজে বা অন্য কে পরামর্শ সহ পারস্পরিক কথা বলে এই বিষয়ে সচেতন করবেন মর্মে বৃক্ত করেন ।