ধর্মপাশা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (২৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭নভেম্বর গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধুবালা গ্রামের রোকন মিয়া (৩০)কে আসামি করে থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী ও ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ধূবালা গ্রামের মো. রোকন মিয়া (৩০) বেশ কিছুদিন ধরে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাঁকে নানাভাবে উক্তক্ত্য করে আসছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় এক মাতব্বরের কাছে ওই গৃহবধূ রোকনের বিরুদ্ধে নালিশ দেন। এতে রোকন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ১৭নভেম্বর রাত অনুমান একটার দিকে ওই গৃহবধূ তাঁর সন্তানসহ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ঘরের বাইরে যান।দরজা খোলা দেখে ওই গৃহবধূর বসত ঘরে ঢুকে রোকন লুকিয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ঘন্টা খানেক পর ওই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন রোকন ।গৃহবধূর বৈদ্যুতির বাতি জ্বালিয়ে রোকনকে চিনে ফেলেন। ওই গৃহবধূ রোকনকে ঘর থেকে বের হতে বলেন। কিন্তু এতে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে রোকন ওই গৃহবধূকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখানোসহ তাঁকে কিলঘুষি মারেন। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর মুখে ওড়না চেপে ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন রোকন। মুখ থেকে ওড়না খোলে পড়ায় চিৎকার দেন ওই গৃহবধূ। এ সময় রোকন সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও ওই বসতঘরে তাঁর একটি ফুল হাতার গেঞ্জি ফেলে রেখে যান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রোকন মিয়ার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে এটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।