রিতেষ কুমার বৈষ্ণব (হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৩ নং ইউনিয়নের জাতুকর্ণ পাড়া থেকে প্রতি বন্ধি এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে বানিয়াচং থানা প্রশাসন।
আজ ২০ মার্চ ২০২১ ইংরেজি রোজ শনিবার উপজেলার জাতুকর্ণ পাড়ার ভট্টের হাটির প্রবোধ সূত্র ধরের পরিত্যাক্ত মিস্ত্রী বাড়ির পুতা নামক স্থানের বাঁশ ঝাড়ের ঝোপের ভেতর থেকে আশরাফ উদ্দিন নামের ১৩-১৪ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে বানিয়াচং থানা প্রশাসন।
জানা যায় আজ আনুমানিক বেলা ১১ ঘটিকায় সিরাজুল মিয়া (১০) এবং আফরোজ মিয়া (৯) দুই শিশু মিলে মিস্ত্রি পুতায় পাখি শিকার করতে গিয়ে হঠাৎ ঝোপের ভেতরে একটি লাশ দেখতে পায় তারা দৌড়ে গিয়ে তাদের প্রতি বেশি এক চাচাকে জানালে তিনি বিষয় টি মিস্ত্রি বাড়ির মালিক প্রবোধ সূত্র ধর কে জানালে তিনি বিষয় টি ৩ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান কে অবগত করেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন ফোর্স সহ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
প্রথম দিকে লাশের কোন পরিচয় সনাক্ত করতে না পারলেও ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নিহত আশরাফ উদ্দিন’র খালাতো ভাই নূর মোহাম্মদ, মামা আবুতাহের, নানী আরশ বিবি সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
নিহত আশরাফ উদ্দিন,র বাবা আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের আবদুল আহাদ মিয়ার ছেলে। নিহত আশরাফ উদ্দিন’র মা আমিরুন নেছা আব্দুল আহাদ মিয়ার ৩য় স্ত্রী ছিলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আমিরুন নেছা কে তালাক দেয় আহাদ মিয়া, পরে আমিরুন নেছা অন্যত্র বিয়ে করে নেয় এবং বর্তমান স্বামীর সাথে সংসার করছে।
জন্মের পর থেকে আশরাফ তার নানী আরশ বিবির কাছেই বড় হয়েছে, প্রতিবন্ধী হলেও আশরাফ খুব হাসি খুশি থাকতো এবং প্রতি শুক্রবার মসজিদে গিয়ে সবার সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে জুম্মার নামায আদায় করতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী গন।
নানী আরশ বিবির সাথে কথা বললে তিনি জানান আজ সকাল ৭ ঘটিকায় ঘুম থেকে উঠে আশরাফ উদ্দিনকে নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দিয়েছেন, এইকই কথা বলছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য গন ও। প্রতিবেশী সেলিনা আক্তার জানান তিনি আশরাফ কে সকালে বাড়ির সামনের পুকুর ঘাটে দাঁত ব্রাশ করতেও দেখেছেন এমন কি হাসি ঠাট্টা করে কথা ও বলেছেন।
এদিকে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী গন ধারণা করছেন ঘটনাটি রাতের শেষের দিকে ঘটেছে।
ঘটনা স্থলে সরেজমিনে পরিদর্শন করলে দেখা যায় নিহত আশরাফ উদ্দিন এর চোখে এবং কানে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। লাশের চারদিকে বাঁশের পাতা পরে আছে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় চিত হয়ে পরে আছে।
এই বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন বলেন এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ সহ কাজ করে যাচ্ছে এছাড়াও জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত রয়েছেন । আশা করি খুব শীগ্রই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব এবং অপরাধী কে খুঁজে বের করতে সক্ষম হব।