আল-মামুন খান, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন মুদি দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, রড-সিমেন্টের দোকান, কিংবা চায়ের স্টলের পাশে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস এবং পেট্রোল। বিক্রেতার নেই কোনো প্রশিক্ষণ, নেই বৈধ কাগজপত্র। দিন দিন গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, সরকারী নির্ধারিত মুল্য থেকে দ্বিগুন মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে সবখানে। প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এ সব সিলিন্ডার গ্যাস ও পেট্রোল। উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ২০-২৫ টি বাজার রয়েছে। সবচেয়ে বড় তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার, তালজাঙ্গা বাজার এবং পুরুড়া বাজার। এসব বাজারের ব্যস্ততম সড়কের উপর গ্যাস সিলিন্ডার গুলো সারিবদ্ধ করে রেখে তা বিক্রি করছে অনেক ব্যবসায়ী।
নীতিমালা বলছে, যেখানে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা সেখান থেকে ২০০ মিটার দূরে এমন পণ্য বেচা-কেনা করতে পারবে। কিন্তু নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যেখানে সেখানে বিক্রি করছে এসব অনুমোদনহী এলপিজি গ্যাস।
তাড়াইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন বলেছেন, এলপিজি গ্যাস ও পেট্রোল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক লাইসেন্স থাকতে হবে। আমাদের জানা মতে তাড়াইলে এলপিজি গ্যাস ও পেট্রোল বিক্রির অনুমোদন সনদপ্রাপ্ত কোনো দোকান নেই। যারা বিক্রি করছে তারা অবৈধভাবে দোকান চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ জানান, বিস্ফোরক লাইসেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক সনদপত্র ছাড়া যারা অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।