ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু পাপিয়া বেগম(১১)এর লাশ একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার দু’ দিন পর গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাপিয়া বেগম উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কাইতকোনা গ্রামের আবু বক্করের কন্যা ও কাইতকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে ভোরে আশ-পাশের বাড়িতে আম কুড়াতে যায় পাপিয়া। প্রতিদিনের মতো শনিবার (৮মে) ভোরে আম কুড়াতে গিয়ে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পায়নি। বিষয়টি মৌখিকভাবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনকে অবহিত করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় কাইতকোনা গ্রামের পার্শ্ববর্তী তাজ উদ্দিনের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে পাপিয়ার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রাতেই সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার, ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন ও ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের ধারণা কোন নরপশু শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন শেষে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ গুমের চেষ্টায় পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।জাউয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সাজ্জাদুর রহমান জানান, গ্রামের একটি পুকুর থেকে গলায় ওড়না পেঁছানো অবস্থায় পাপিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।