সিলেট নিউজ ডেস্কঃঃ
কোন প্রকার আইনি অনুমোদন ছাড়াই ওসমানীনগরে চলছে অনুমোদনহীন নাটক, টিকটক, লাইকি এবং গানের শ্যুটিংয়ের নামে বেহাপনা মূলক কার্যকলাপ। সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কথিত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জড়ো করে উপজেলার আনাছে-কানাছে টিকটক,লাইকি ও ফেসবুকভিত্তিক চ্যানেলের শুটিংয়ের নামে দিন দুপুরে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ।
স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার বিধান থাকলেও কোনো প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার নিজ কুরুয়া এলাকায় আঞ্চলিক নাঠকের শ্যুটিংয়ের নামে প্রায় প্রতিদিনই বহিরাগত লোকজনকে জড়ো করে দেদারছে চলছে উঠতি বয়সের যুবক-যুবতিদের অভিনয়ের নামে অশ্লীলতার মঞ্চ।
এছাড়া শ্যুটিংয়ে জড়িত থাকা কথিত এসব অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই মাদকসেবী ও নানা অসামাজিক অপরাধের সাথে লিপ্ত থাকায় শ্যুটিং স্পট হয়ে যাচ্ছে মাদকের আখড়া ।
গত শনিবার উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মহানগর পাম্পের পিছনে নিজ কুরুয়া এলাকায় অনুমোদনহীন ইউটিউব ও ফেসবুকভিত্তিক চ্যানেলের শ্যুটিং চলাকালিন সময়ে স্থানীয়রা নিষেধ করলে তারা কোন কর্নপাত করেনি।
বিকৃত শরীরি আচরণ, কটাক্ষ, ইভটিজিংকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি কথিত ভাঁড়ামির নাটকগুলো যুবসমাজকে ঠেলে দিচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে। ভাঁড়ামির এসব নাটকে সচেতণ মহল উপেক্ষা করলেও সমাজের একশ্রেনীর লোকেরা আবার এসব কর্মকাণ্ড উপভোগ করছেন।
সূত্র জানায়,সিলেটের আঞ্চলিক নাটকের বিতর্কিত অভিনেতা রাসেল হামিদ ওরফে কাট্টুস আলী, আল্লাহকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য উপস্থাপনকারী সাহেদ মোশাররফ ওরফে কটাই মিয়া,খাদিমপাড়ার আকরাম দেশের বিভিন্ন এলাকার কথিত অভিনেতা অভিনেত্রী ও মডেল নিয়ে ওসমানীনগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শ্যুটিং পরিচালনা করে আসছে।অভিনেতা রাসেল হামিদ ওরফে কাট্টুস আলী ওসমানীনগর মহানগর পাম্পের পেছনে নিজ কুরুয়া এলাকায় তার মামার বাড়িসহ আশপাশ এলাকায় বহিরাগত লোকজনকে জড়ো করে নিয়মিত শ্যুটিং পরিচালনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোন আইনি অনুমোদন নেই।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক বলেন,সরকারের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শ্যুটিংয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম নিজ কুরুয়া এলাকায় গিয়ে শ্যুটিং পরিচালানা না করার জন্য নিষেধ করেছে। এও বলে আসছেন, যদি কোথাও এভাবে মানুষ জড়ো করে শুটিং হয় তাহলে থানায় জানানোর জন্য।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তার বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।সংক্রমন ঠেকাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিধি নিষেধ গুলোর বাহিরে গিয়ে কেউ কোনো আয়োজন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া নিজ কুরুয়া এলাকায় শ্যুটিং পরিচালনা বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।