সুমাইয়া আক্তার শিখা স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়া বড়বাজার রাজারহাট সি আর পি ফ্লাওয়ার আটার মিলে বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া ভোক্তাধীকার ভ্রাম্যমান অভিযান চালালে সিআরপি ফ্লাওয়ার আটার মিলে কোনো রকম ত্রুটি মেলেনি । মিল পরিচালনা করার জন্য যে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয় তা সম্পূর্ণ রয়েছে মিল কর্তৃপক্ষের। পুরা মিলটা অত্যাধুনিক অটো মেশিন দ্বারা পরিচালনা করা হয় । কোন প্রকার হাতের ছোঁয়া ছাড়াই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে মিল পরিচালনা করা হয়।এই মিলে অন্তত শতাধিক শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে । করোনাকালীন এই দুঃসময় ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই খারাপ।
এমন অবস্থায় একটি কুচক্র মহল সি আর পি ফ্লাওয়ার মিলের সুনাম নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মিলে উৎপাদন করতে গেলে কিছু উৎসৃষ্ট তৈরি হয় ,সে গুলো ওয়েস্টেজ করে রাখা হয়। ব্যবহার যোগ্য নয় সেগুলো ফ্যাক্টরির বাইরে রাখা হয় । সেগুলো নিয়ে কে বা কাহারা ভুল তথ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সংবাদ প্রচার করায়। এ বিষয়ে ফ্যাক্টরির মালিক চিত্ত রঞ্জন দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে আমার মিল পরিচালনা করে আসছি। কখনো কোন সময় অব্যবহারের যোগ্য কোন খাদ্য আমরা প্রস্তুত করি না । মানুষ খাবে সে পণ্য আমরা খারাপ কেন দিব এবং প্রতিযোগিতার যুগে আমরা খারাপ পণ্য সরবরাহ করলে সুনামের সাথে মার্কেটে টিকে থাকতে কখনোই পারতাম না। তাই আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল কাজ করছে বলে আমার মনে হচ্ছে । এটা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। নিউজের বিষয় নিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে আমাকে অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের কথা বার্তা বলা হয় তখনই আমি বুঝতে পেরেছি উদ্দেশ্য খারাপ। তারপরে কিছু মিডিয়াতে আমার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভিত্তিহীন নিউজ প্রচার করে এবং আমার বিশ্বাস রিপোর্টে সম্পূর্ণ ফুটেজ আমার প্রতিষ্ঠান নয় । আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বলতে চাই করোনাকালীন এই সময় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে । ব্যবসায়ীরা সবথেকে বেশি হুমকির মুখে আছে। এই খারাপ সময়ে যারা মানুষের ক্ষতি করতে চায় তারা ভালো মানুষ নয়। এই প্রতিষ্ঠান ভ্রাম্যমাণ পরিচালনাকারী অফিসার কুষ্টিয়া ভোক্তাধীকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারি পরিচালক কাজী রাকিবুল হাসান জানান এই প্রতিষ্ঠানের এসে সবকিছু ঘুরে দেখলাম তেমন কিছু পেলাম না তবে বাইরে ওয়েস্টেজ গম গুলো রয়েছে সেগুলো শর্তসাপেক্ষে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে বিএসটিআই সহ আমরা এসে স্বচক্ষে দেখে প্রতিষ্ঠান প্রতিপক্ষকে পুনরায় প্রোডাকশনে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হবে।