বিশেষ প্রতিবেদনঃ
সাংবাদিকতা পেশায় সম্মান থাকলেও পারিশ্রমিক অন্যান্য পেশার থেকে তুলনায় কম আবার বর্তমান সময়ে অনেক নিউজ পোর্টাল ও মিডিয়াগুলো তো কোন পারিশ্রমিকও দেয় না। শুধু ভালোবাসা আর নেশার তাগিদেই অনেকে এই পেশা বেছে নেন এবং সাংবাদিকতার দায়িত্বও ঠিকমতো পালন করছেন।
আন্তর্জাতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে,ভালোবাসার মানুষ ও জীবনসঙ্গী হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা। আর এর পেছনে রয়েছে অনেক কারণ।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, অন্য যে কোনো পেশার মানুষের চেয়ে সাংবাদিকরা প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে। কারণ কাজের প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। ফলে যে কোনো জায়গার ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে জবাব পাওয়া যায় খুব সহজে।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়,কোথায় কী বলতে হবে,কোথায় কীভাবে থাকতে হবে,তা নিয়ে সম্যক ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ফলে যেখানেই আপনি তাকে নিয়ে যান না কেন,অস্বস্তিতে তো পড়বেনই না। বরং সাংবাদিক সঙ্গী থাকলে আপনার মর্যাদাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
এ ছাড়া পেশার খাতিরে পড়াশোনাও করতে হয় প্রচুর। তাই যে কোনো বিষয়ের উপর মোটামুটি জ্ঞান তাদের থাকে। সাংবাদিকদের নিকট টাকার চেয়ে সম্মান অনেক বড়।
এই মনোভাব সাংসারিক জীবনেও কাজ করে। ফলে স্বামী বা স্ত্রীর আয় নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এমন সঙ্গী পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে সাংবাদিক ৩-৪ প্রকারের হয়ে থাকে;লাল,হলুদ,সাদা,সবুজ।নব্বই দশকের মতো আজ আর সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের তেমন ভালোবাসেনা,উল্টো ঘৃণা করে। তবে,সমীক্ষা অনুযায়ী শতকরা ৮৫ ভাগ সাংবাদিকদের আর্থিক অনটন থাকলেও বিবাহিত জীবনে দুঃখ কষ্টের উল্লেখযোগ্য কোন ছাপ মিলেনি,সর্বদা শান্তি বিরাজমান।
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ঊর্ধ্বে গিয়ে পরিস্থিতির চাপে পড়ে কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠে তারা। সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি পরিশ্রমী হয়, তবে তো সবারই লাভ। তার উপর কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর মতো সময় তাদের থাকে না।
এমনও অনেক কাজ আছে যা তারা করতে আগ্রহী না। তবে প্রয়োজনে তাদের অনেক কিছুই করতে হয় এবং সেসব সাংসারিক জীবনেও কাজে লাগে।
সাংবাদিকরা পেশার খাতিরেই বিশ্বাসী হন। আর সংবাদ উৎসের গোপনীয়তাও রক্ষা করতে হয় যা ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে।