বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আবারও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে,অতর্কিতে অভিযান, এবং ভুয়া কল সেন্টারের সন্ধান পেলো ভারতের বিধাননগর থানা পুলিশ। এবার অবশ্য Modus Operandi-তে নতুনত্ব নেই বিশেষ। ‘চেনা বাস,চেনা রুট’। আই টি সেক্টরে একটা কল সেন্টার খুলে সেখান থেকে VOIP( Voice Over Internet Protocol)-এর মাধ্যমে দেশে বিদেশে বিভিন্ন লোককে ফোন করে অনলাইনে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নামে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।উল্লেখ বাহুল্য,বৈধ কোন কাগজপত্র নেই তাদের।
এবার জোড়া অভিযান:
(১) সেক্টর-৫ এর একটি বহুতলের ৯০২ নম্বর ঘরে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার তিন। বৌবাজারের আদিল খান, বাগুইআটির শাহরুখ সাপুই এবং জগদ্দলের অনিমেষ রায়। উদ্ধারকৃত মালামাল ২৫টি কম্পিউটার,একাধিক মোবাইল ফোন,IP রিসিভার, হার্ড ডিস্ক এবং আরও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
(২) একই বহুতল ভবনের ৯০৯ নম্বর রুমে । যেখানে একই লোক ঠকানোর গল্প। এখান থেকে বিধাননগর সাইবার থানার জালে আরও পাঁচজন। বাগুইআটির সুরজ অগ্রওয়াল এবং আয়ুশ জয়সওয়াল, রাজারহাটের প্রদীপ্ত দাস, নিউমার্কেট এলাকার আমান সাউ এবং হাতিয়াড়ার বাসিন্দা অভিষেক পাণ্ডে। উদ্ধারকৃত মালামাল হলো ২৩টি কম্পিউটার,একাধিক দামী মোবাইল এবং IP রিসিভার,একটি ল্যাপটপ এবং হার্ডডিস্ক ।
এই দুই কল সেন্টারের নেপথ্যের চক্রীরা এখনও অধরা। তবে, সিল করে দেওয়া হয়েছে দুটি ভুয়া কল সেন্টারই। দ্রুত তদন্ত, দ্রুত চার্জশিট এবং দ্রুত দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করা,লক্ষ্যে কাজ করছে বিধাননগর থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট বা বিধাননগর সিটি পুলিশ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিধাননগর ও সংলগ্ন এলাকার শান্তিরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি পুলিশ বাহিনী। ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট গঠিত হয়। এই কমিশনারেট পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি অংশ। উত্তর চব্বিশ পরগনা পুলিশ জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে নয়টি থানা নিয়ে এই কমিশনারেট গঠিত হয়। রাজীব কুমার এই কমিশনারেটের প্রথম পুলিশ কমিশনার।