মোঃ আব্দুল হান্নানঃ
অবশেষে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামের মৃত ফালান ফকিরের ছেলে রহমত আলী হত্যা মামলার জট খোলতে শুরু করেছে।ব ্রাক্ষণবাড়িয়ার সুদক্ষ ও চৌকস পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা খুনের মুটিভ উদ্ধার করতে কাজ শুরু করেছেন। বুধবার সকালে মামলার অন্যতম আসামী আলমগীর চৌধুরীর ছোট ভাই মোঃ আমরুল কায়েস চৌধুরীকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে নিযে আসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা। জানা গেছে এ পর্যন্ত উক্ত মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে জেলা গোয়েন্দা ডিবি। জেলহাজতে থাকা অন্য আসামীরা হলেন গ্রামের মৃত শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে রকিব চৌধুরী ও রেনু মিযার ছেলে রোমান মিয়া। জানা গেছে গত ২০ মে ২০২১ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় বুড়িশ্বর চানপাড়া গ্রামের মৃত নুরুর ইসলাম চৌধুরীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর চৌধুরী ও তার লোকজনে মিলে প্যাচাবাড়ির ফালান ফকিরের ছেলে মোঃ রহমত আলীকে নির্মমভাবে খুন করে। পরদিন খুনের মামলা থেকে নিজে বাচতে চতুর আলমগীর নিজে ৮ নং সাক্ষী সেজে ২২ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানার মামলা নং২৩, জি,আর মামলা নং ৯৭ দায়ের করে। পরবতীর্তে আলমগীর চৌধুরী খুনের সাথে জড়িত বলে বাদীর সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু নাসিরনগর থানা পুলিশের এস,আই জুলুস আহমেদ খান পাঠান কোন অবস্থাতেই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করতে রাজি হয়নি। পরবতীর্তে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীর লোকজন আলগীরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করলে, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি কালে আলমগীর চৌধুরী কিছুটা আহত হয়। পরবতীর্তে পুলিশ প্রহরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আলমগীর। এখনো আলমগীর পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা জানান, আলমগীরকে ধরতে ডিবি পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। তিনি বলেন, খুব শীর্ঘ্রই এই হত্যা মামলার রহস্য উনে্¥চন হবে।
মোঃ আব্দুল হান্নান
নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মোবাঃ ০১৭১৭৩৫০৮৭৬।