শিরোনাম
মার্চ ফর ঢাকা-১৫ আসন, শফিকুল ইসলাম মিল্টনের পক্ষে লক্ষ জনতা  এ কর্মসূচীতে মৌলভীবাজারে সুজনের প্রতিষ্টাবার্ষিকী পালিত বানারীপাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের নৈরাজ্য ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ঘাটাইলে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকের আইন বহির্ভুত কাজ লক্ষ্যণীয় তাড়াইলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত পুঁজিবাজারে বিদ্যমান আস্থাহীনতা বনাম বিএসইসির মিউচুয়াল ফান্ড নীতিমালা সিলেটে ভোরের আলোর ৮১ সদস্যের বিএনপিতে যোগদান সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মিথ্যা ছাগল চুরি নিয়ে সাজানো নাটক !! নেপথ্যে ছিনতাইকারী রানা, জুলহাস, মক্ষীরাণী লাকী চক্র সিলেট মহানগর ৩৬নং ওয়ার্ড কৃষকদলের পরিচিতি সভা আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব: কুরআনের আলোকে হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকীর ব্যাখ্যা
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সাতক্ষীরায় হারিয়ে যাচ্ছে শীতের খেজুর রসের ঐতিহ্য

Coder Boss / ৬০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

Manual3 Ad Code

শেখ অাবুমুছা সাতক্ষীরা:

Manual7 Ad Code

সাতক্ষীরায় হারিয়ে যাচ্ছে শীতের খেজুর রসের ঐতিহ্য। হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। শীতের সঙ্গে রয়েছে খেজুর রসের নিবিড় সম্পর্ক। শীতকালে খেজুর গাছ থেকে পাওয়া যায় সুমিষ্ট রস ও গুড়। ফল হিসেবেও খেজুরের জুড়ি নেই। শীতের মিষ্টি রোদে খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ি খেতে কে না ভালোবাসে? শীত মৌসুমে এক সময়ে গ্রাম-বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা, পায়েস, রসের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা এবং গাঢ় রস তৈরি করে মুড়ি, চিড়া, খই ও চিতই পিঠাসহ হরেক রকম পিঠাপুলির মহোৎসব চলতো।

Manual5 Ad Code

কিন্তু আগের মতো রাস্তার দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যায় না। গ্রামের রাস্তাগুলো সংস্কার ও নতুন করে খেজুর গাছ রোপনে মানুষের অনীহার কারণে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও কিছু কিছু বাড়ির উঠোনের আশেপাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু খেজুর গাছ। আর রস আহরণে এখনো গ্রাম্য রীতিতেই ঝুঁকি নিয়েই কোমরে দড়া বেঁধে শীতের বিকেলে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে তা থেকে রস সংগ্রহ করছেন গাছিরা। আগে তারা এই কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গাছি মকছেদ আলী বলেন, ‘রাস্তাগুলো সংস্কার হওয়ার কারণে খেজুর গাছ কেটে ফেলা হলেও নতুন করে আর কেউ গাছ লাগাচ্ছে না। বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এলাকায় খেজুর গাছ দেখাই যাবে না। অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, খেজুর গাছ একদিকে গ্রামের শোভা বর্ধন করে, অন্যদিকে মুখরোচক খাবার রসও পাওয়া যায়।

এখনই যদি খেজুর গাছ রক্ষণাবেক্ষণ ও নতুন করে গাছ রোপণ করা না হয়, তাহলে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে খেজুর গাছ। সরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। কারণ নতুন করে খেজুর গাছ রোপণে মানুষ আগ্রহী হচ্ছে না। তালগাছ রোপণের মতো খেজুর গাছ রোপণে সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা থাকলে খেজুর গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতো, না হলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুর গাছের রস, হারিয়ে যাবে গ্রাম বাংলার আরো একটি ঐতিহ্য।’ কৃষি কর্মকর্তা মো: জিয়াউল হক বলেন, ‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুর গাছের রস। শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকেন গাছিরা। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি এক ধরণের শিল্প। এর জন্য দরকার হয় বিশেষ দক্ষতা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য। খেজুরের রস থেকে বিভিন্ন রকমের গুড় তৈরি করে থাকেন গাছিরা। দিন দিন এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্প পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন সকলে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা।

Manual6 Ad Code


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

বিভাগের খবর দেখুন

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code