সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):
মঈন মুনির আলী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একজন ইংরেজ ক্রিকেটার। তিনি একজন বা-হাতি ব্যাটসম্যান এবং অফ স্পিন বোলার যিনি ২০০৬ মৌসুমের পরে ওরচেস্টারশায়ার থেকে খেলার আগে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। ২০১৪ সালের হিসাব মোতাবেক, আলী ইংল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়। তিনি ২০০৪ এবং ২০০৫ উভয় সালে ওয়ারউইকশায়ারের এনবিসি এর ডেনিস কম্পটন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
আলী মাত্র ১৫ বছর বয়সে ওয়ারউইকশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, যেখানে তিনি কাউন্টি সেকেন্ড এলেভেনের হয়ে অর্ধ-শতক করেন। মঈনকে বাংলাদেশের ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ২০১৪ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের জন্য ইংল্যান্ড স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তার ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক অভিষেক হয়, তিনি উক্ত ম্যাচে আউট হওয়ার আগে ৪৪ রান করেন এবং তার প্রথম ওয়ানডে উইকেট লাভ করেন।
পাকিস্তান বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান তিন দেশকেই নিজের বাড়ি বলে মনে করেন। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের মঈন আলি বলেন,’ বাংলাদেশ আমার বাড়ি,পাকিস্তান আমার বাড়ি,ইংল্যান্ডও আমার বাড়ি। আমি সিলেটে প্রথমবার,তারা আমাকে সবসময় আসতে বললেও আমার আসা হয় না। আমি এখানে এসে খুব খুশি ‘।
জাতীয় দলের হয়ে এবং বিপিএল খেলতে এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন মঈন আলি। তবে এবারই প্রথমবার সিলেটে আসা। স্ত্রীর কল্যাণে সিলেটের কিছু কিছু ভাষাও বলতে পারেন তিনি। এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন,‘ আমি সিলেটি ভাষা কিছু পারি,আরও শিখতে চাই। আমি আরও শিখতে চেষ্টা করবো। কারণ,হোটেলে যারা আছে তারাও সিলেটি ভাষায় কথা বলে ‘।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারী বিপিএল খেলতে এখন সিলেটে অবস্থান করছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলি। সেখান থেকে জানালেন নিজের উচ্ছ্বাসের কথা। জানালেন,তার শ্বশুড়বাড়ি বাংলাদেশে। তার স্ত্রী ফিরোজা হোসেনের পৈতৃক নিবাস সিলেটে।
উল্লেখ্য যে,এবারের বিপিএল মোট ৬ টি দল অংশগ্রহণ করবে। দলগুলো হলঃ-
(১) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
(২) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
(৩) ফরচুন বরিশাল।
(৪) খুলনা টাইগার্স।
(৫) মিনিস্টার ঢাকা।
(৬) সিলেট সানরাইজার্স।
এবারের বিপিএলে গত কয়েক আসরের ২ টি জনপ্রিয় দল রাজশাহী এবং রংপুর বাদ দেয়া হয়েছে।
এবারের বিপিএলে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট ৪৩৫ জন বিদেশী খেলোয়ার এবং ২০৩ জন দেশী খেলোয়ার থেকে তাদের পছন্দের স্কোয়াড সাজিয়েছে। প্রতিটি দলই চেষ্টা করেছে তাদের পছন্দের খেলোয়ার দিয়ে দল সাজাতে। তবে বলা যায়, অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন কোন চমক নেই। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি অধিনায়কত্বের বেলায় আস্থা রেখেছে বাংলাদেশী স্থানীয় খেলোয়াড়দের উপর। তবে বিপিএল কিংবা জাতীয় দলের খেলা যাই হোক না কেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবারের বিপিএলে মাশরাফি বিন মর্তুজা কোনো দলের অধিনায়কত্বে থাকছেন না।