নাজমা খান আরজুঃ
সিলেটে একটি বেসরকারি কোম্পানির ৪ পার্টনারের মধ্যে একা একজন ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন- এমন অভিযোগ তুলেছেন বাকি ৩ পার্টনার। এ টাকা উদ্ধারে অভিযুক্ত পার্টনারকে উকিল নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন বাকি ৩ জন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, সিলেটে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মী সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ‘যমুনা স্টাফ শেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসায়ীক কোম্পানি গড়েন চারজন। কোম্পানির ৪ পার্টনার হলেন- নগরীর শেখঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বাবুল, লালাদিঘীরপার এলাকার মছব্বির আলী খান ও আব্দুর রহিম মতছির এবং কাজলশাহ এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর ওই কোম্পানি সিলেটের শাবিপ্রবিতে সিকিউরিটি গার্ড সরবরাহ করে। তখন কোম্পানির আর্থিক সকল হিসাব-নিকাশের দায়িত্ব ছিলো জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। কিন্তু শাবিতে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের পর থেকে প্রাপ্ত টাকার কোনো হিসাব জাহাঙ্গীর বাকি ৩ পার্টনারকে দেননি। ফলে মোট ৬৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা তার কাছে বাকি পার্টনারদের পাওনা পড়ে যায়। তারা এ টাকা চাইলে নানা টালবাহানা শুরু করেন জাহাঙ্গীর। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীরকে আর কোনো টাকা না দিতে শাবি প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন নুর মোহাম্মদ বাবুল, মছব্বির আলী খান ও আব্দুর রহিম মতছির। গত ৮ মার্চ তারা ডাকযোগে এ আবেদন পাঠান।
এছাড়াও বাবুল, মছব্বির ও মতছির গত ৬ মার্চ টাকা প্রদান মর্মে জাহাঙ্গীর বরাবরে একটি লিগ্যাল নােটিশ পাঠিয়েছেন।
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৬৮ লাখ টাকা পাওনা থাকার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমি তাদের সঙ্গে জড়িয়ে আমার ৩টি দোকান বিক্রি করেছি, জীবনে প্রথমবারের মতো লোনগ্রস্ত হয়েছি। তাদের সঙ্গে ব্যবসা করে আমি এখন প্রায় দেউলিয়া। কারণ- ব্যবসায় আমি মোট ৩৫ লাখ ইনভেস্ট করেছি। তাদেরকে আমার টাকা দেওয়ার প্রমাণ আছে।
তিনি বলেন, আমাকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে, আমি আইনিভাবে এর জবাব দিবো।