চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাটের আওয়ামী রাজনীতির দীর্ঘদিনে তৃনমুলে বেড়ে ওঠা নেতার ছক পাল্টে গিয়েছে মুহুর্তে। আবু তাহের আর চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নেই। বিদ্রোহী হয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে উপজেলা নির্বাচন করায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ চুনারুঘাটের আবু তাহেরসহ জেলা উপজেলার চার নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে।
জানা যায়, তৃনমুলে ছাত্র রাজনীতি থেকে আবু তাহেরের রাজনৈতিক জীবন শুরু। ছাত্রলীগসহ উপজেলার শীর্ষ পদধারী নেতা ছিলেন এক সময়ে যার জনপ্রিয়তা মাঠে ময়দানে । কালের রাজনৈতিক পরিবর্তনে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি ৷ হয়ে ছিলেন ছাত্র নেতা তারপর ইউনিয়ন সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান। চুনারুঘাটে আবু তাহের আওয়ামী রাজনীতি চর্চা করলেও সর্বস্তরে তাঁর অন্যতম প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে তবে বিদ্রোহী করার পরে ক্রম রাজনৈতিক ভাবে হেও খেতে হচ্ছে বর্তমানেও ।
গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি এই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক । ক্ষোভ ও অভিমানে আনারস প্রতিকে প্রার্থী হয়ে অর্জন করেছিলেন বেশ ভালো ভোট। দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছিলেন নৌকার প্রার্থীর সাথে। শেষতক দলের পরিশ্রমি এই কর্মীর অব্যাহতি জুটলো রাজনৈতিক দায়িত্ব থাকা জীবনে।
এ বিষয়ে আরো জানা যায়, আবু তাহের গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী হওয়ার পর কেন্দ্র থেকে তাঁকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। আবু তাহের যথাযথভাবে তাঁর জবাব দেন। কেন্দ্র থেকে তাঁকে সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করা হয়েছিলো বলে দাবি তাঁর। কিন্তু দলীয় কঠোরতার কাছে যেন এই কর্মীর অভিমান কিছুই নয়৷ বাদ পড়তে হলো অন্যজনের সঙ্গে তাঁকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুনারুঘাটের তৃনমুলের আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, আবু তাহের চুনারুঘাটে আওয়ামী রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু ছিলেন যেমন একদিকে আবুতাহের আরেক দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ কাদির লস্কর ওরা চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের প্রাণ মেরু দলের দূর দিনে তারই সুসংগঠিত করে আওয়ামী পরিবার কে গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন । তবে তাহেরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আরো ভাবা উচিত ছিলো তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মত।