শিরোনাম
তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বাসাইল উপজেলার দুই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে শিক্ষকসমাজ

মোঃ মশিউর রহমান / ১৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

 সিনিয়র রিপোর্টারঃ

ভারত, পাকিস্তান ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশও একটি উনয়নশীল দেশ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষাগ্রহণে উদারপন্থী মনোভাবের বিকাশ ঘটিয়েছেন বাসাইল উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। তারা ইতিবাচক সেবা মনোভাবের সুশিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত বাসাইল প্রাথমিক শিক্ষা গড়নের লক্ষ্যে কাজ করে ছুটে চলছে সর্বদা প্রায়চিত্তে।

সুষ্ঠু, শান্তিপ্রিয়, জাতির বিবেক, আলোর দিশারী শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের স্বাধীনভাবে শ্রেণি কক্ষে ভয়ভীতি মুক্ত নিরাপদ পরিবেশ দিয়ে ও কোমলমতি কচিকাঁচাদের লেখাপড়ার মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত লগ্নে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা” গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে শিক্ষা অফিসার ও সহকারি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তদাবি করে এদেরকে দ্রুত অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তারা বাসাইল উপজেলার শান্তিপ্রিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ। সরকারি কর্তব্যপরায়ন পালন করা ও বিধি নিষেধ মেনে চলাই তাদের একান্তকাম্য। তারা তাদের ইতিবাচক সেবা মনোভাবের সুশিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত বাসাইল প্রাথমিক শিক্ষা গড়নের লক্ষ্যে কাজ করে ছুটে চলছে সর্বদা প্রায়চিত্তে।

কিন্তু শিক্ষা অফিসার সদানন্দ পাল(০১৭১৫৪৩৪৮৯৯) এবং সহকারি শিক্ষা অফিসার কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন(০১৭১২৬১৫৪৯৭), এদের আর্থিক দুর্নীতি ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার তাদের শিক্ষা পাঠ ও ব্যক্তিগত জীবনকে প্রতিনিয়ত মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় কাজ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে চরম বাঁধাও ব্যাহত করে শিক্ষকদের সাথে বাজে আচরণ করেন। যার ফলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ নিয়ে উপজেলার শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও বিরক্তি মনোভাব দেখা দেয়।

১৩ তম গ্রেডের বকেয়া বাবদ প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে স্বাক্ষর বাবদ ৩০০টাকা করে নেওয়া। সার্ভিস বুকে সার্টিফিকেট এন্ট্রি করাতে ৫০০টাকা করে ধার্য করেন (অনার্স + মাস্টার্স) সহ। টাকা ছাড়া শিক্ষা অফিসে কোন ফাইলই স্বাক্ষর হয় না এমনকি নিজেরাই ঠিকাদারির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সর্বদা। প্রতি বিদ্যালয়ের জন্য নিজেরাই নিম্নমানের হারমোনিয়াম কম দামে কিনে বেশি দামে অর্থাৎ ১৫০০০টাকা করে সাপ্লাই দেয় যা বর্তমানে অধিকাংশই অকেজো, এমনকি প্রত্যেক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য টাকা ছাড় পেতে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন হয় (১-২% অডিট বাবদ কমিশন) যা মাসিক সমন্বয় মিটিং ১০ অক্টোবর,২০২২ ইং তারিখ সোমবার উপজেলা অডিটোরিয়াম (হলরুম)এ সকল প্রধান শিক্ষকের সামনে চাওয়া হয়।

উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে ট্রেনিং কার্যক্রমে এদের সমন্বয়ে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি যার ফলে যোগ্য, মেধাবী, সৃজনশীল ও দক্ষতা সম্পূর্ণ শিক্ষকরা চরম হতাশা বিরাজ করছে ও আশাব্যঞ্জক হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলায় প্রাথমিক বিভাগে অনেকাংশেই শ্রেষ্ঠ হওয়া ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও নিয়মবর্হিভূত ভাবে হয়েছে যা তাদের একান্ত নিজেদের পূর্ব থেকেই নির্ধারিত মনোপুত শিক্ষক, যেখানে সরকারি বিধিবিধানের কোন নিয়মই অনুসরণ করা হয়নি।

শিক্ষা অফিসারগণ রাস্তা-ঘাট, বাজার প্রভৃতি স্থানে বসে স্কুল পরিদর্শন করেন এমনকি ঐ স্থানে বসেই শিক্ষকদেরকে শোকজ করেন। শিক্ষকদের বেতন প্রত্যয়নে শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষর দেননা। প্রয়োজনীয় কাজের জন্যও শিক্ষা অফিসে গেলে অহেতুক গালমন্দ করে থাকেন। বিশেষ করে শিক্ষিকাদের সাথে চরম খারাপ আচরণ করেন ও তাদের নানা বিষয়ে পদে পদে শোকজের হুমকি দেন, যার ফলে মাতৃসুলভ মহিলা শিক্ষকদের মাঝে চরম আফসোস ও মনোচাপ বিরাজ করছে।

তারা বলে বেড়ায় তাদের হাতে নাকি অনেক ক্ষমতা, তারাই শিক্ষা অফিসের সর্বেসর্বা, তাদের চেয়ে বেশি বুঝলে বা এই সব কথা বাহিরে বলে দিলে প্রয়োজনে বিভিন্ন দক্ষতা ভিত্তিক ট্রেনিং হতে বঞ্চিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ও বিনোদন ভাতা কেটে দেওয়ার হুমকি দেন। যার ফলে নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও কর্তব্যপরায়ণ শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ নীরবে নিভৃতে চোখ মুখ বন্ধ করে সহ্য করে যাচ্ছে অবিরত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

বিভাগের খবর দেখুন