বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায় আবাদযোগ্য জমি পতিত ফেলে রাখার দুর্নাম রয়েছে। প্রবাসীবহুল এই অঞ্চলে নানা সংকটে পতিত ফেলে রাখা হয় আবাদযোগ্য বিপুল পরিমাণ জমি,এমনকি সেচ আর শ্রমিক সংকটের কারণেও পতিত থাকে জমি। এতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে শাক-সবজি উৎপাদনে। তবে এসব পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দুইশ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে,যা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এরকম তথ্যই পাওয়া গিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে।
পরপর দু’বার ‘কোভিড-১৯’ মহামারির ভয়াল থাবার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব এখন আরেকটি কঠিনতম পরিস্থিতির মুখোমুখি। ‘বিশ্ব সংকটের কারণে দেশ যাতে কোনো সংকটের সম্মুখীন না হয়,সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে’ এবং ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি আব্দুল লতিফ খান-এর কনিষ্ঠ পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য,সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-অ্যাট আর্মস ও স্কোয়াড্রন লীডার (অব:) সাদরুল আহমেদ খানের উদ্যোগে কুলাউড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের পতিত জমি ও বাড়ির উঠানে চাষের জন্য জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে মৌসুমী শাক-সবজির বীজ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) আনোয়ার পারভেজ জনি তালুকদারের পরিচালনায়,ডা: নারায়ন চন্দ্র দাসের সমন্বয়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নে মৌসুমী শাকসবজি চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় বীজ বিতরণ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঐ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে উক্ত ইউনিয়নের সকল জনসাধারণের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উন্নতমানের শাক সবজির বীজ বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য,স্কোয়াড্রন লীডার (অব:) সাদরুল আহমেদ খান ডেইলি সিলেট নিউজ 24’কে জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশে যেন কোনো রকম খাদ্যের অভাব দেখা না দেয়। সকলকে সচেতন হয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে,জমি আছে-সেখানে কিছু চাষ করুন,সর্বশক্তি প্রয়োগ করে উৎপাদন করে মজুদ বাড়াতে হবে ও দেশ যেনো কোনভাবে খাদ্য সংকটে না পড়ে,এর জন্য সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন দিকনির্দেশনায় আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে কুলাউড়ার জনসাধারণের মঙ্গলার্থে মৌসুমী শাকসবজির বীজ বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
উপজেলার ১৩ ইউনিয়নকে চারটি ভাগে বিভক্ত করে ইতিমধ্যে বিনামূল্যে শাক-সবজির বীজ বিতরণ কার্যক্রম শেষের পর্যায়ে। এর আগে ভাটেরা, বরমচাল ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের জনসাধারণের মাঝে শীতকালীন সবজির এ বীজ বিতরণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) টিলাগাঁও,হাজীপুর ও শরীফপুরে বীজ বিতরণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি সিলেট নিউজ24’কে আরও বলেন,’আমি আশাকরি যেসব ইউনিয়নের জনসাধারণের মাঝে শীতকালীন শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে,তারা তাদের পতিত জমি ফেলে না রেখে শাক সবজি চাষ করে নিজেদের খাবার যোগান দেয়া সহ দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড মজবুত রাখতে সরকারের সঙ্গে সচেতন নাগরিক হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে যাবেন’।