দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আব্দুল কাদিরকে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি সিলেট সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ।
গত (২১ মে) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ক্ষমা প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আব্দুল কাদির নিজেই।
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রদর্শনের একটি চিঠি আমার হাতে পেয়েছি। আমি দলীয় প্রধান ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বদা কাজ করে যাব।
দলীয় চিঠি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভিযোগে ইতোপুর্বে আব্দুল কাদিরকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আব্দুল কাদিরকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হল।
ক্ষমা প্রদর্শন পত্রের অনুলিপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করেছে।