স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত পাহাড়ি জনগণের অধিকারের পক্ষে আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে দেশে ক্রিয়াশীল ৮ ছাত্র সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে এই আহ্বান জানান বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন চৌধুরি জয়, বাংলাদেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার,সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য,বাংলাদেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড,বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া,গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন এবং বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন,’ আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছি যে,২০১৫ সালের মধ্যভাগ থেকে এই সংঘাত বন্ধ থাকলেও নতুন করে তা আবার শুরু হয়েছে এবং ২০১৮ সালে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে স্থাপিত সমঝোতা লঙ্ঘন করে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালানো হয়েছে। নতুন এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ইউপিডিএফ এর দুজন সদস্য নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ‘।
চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে দেশের শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের ফল অভিহিত করে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেছেন,তা শুধু পাহাড়িদের ন্যায্য সংগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না,এতে দেশের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং জনগণের লড়াই সংগ্রামকে দুর্বল করবে। তাই,জনগণের স্বার্থ প্রতিনিধিত্বকারী সকল দলের উচিত শাসকগোষ্ঠীর এই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া এবং ন্যুনতম সাধারণ কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা।
৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে পারস্পরিক সংঘাতে লিপ্ত না হয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সকল মত পার্থক্য দূর করা ও ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।
তারা আরও বলেন,যদি ইতিপূর্বে কোন সমঝোতা হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত উক্ত সমঝোতার শর্ত মেনে চলা,কারণ নিজেদের মধ্যে কোন ধরনের সংঘাত হলে তাতে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে,অপরদিকে তা শাসকগোষ্ঠীকেই লাভবান করবে। নেতৃবৃন্দ পাহাড়িদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধিয়ে দেয়ার ও তা জিইয়ে রাখার ষড়যন্ত্র পরিহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।