Categories
বিনোদন

মাছুম আহমেদ-এর কবিতা আমি কবি না প্রেমিক

আমি কবি না প্রেমিক
✍️ মাছুম আহমেদ

আসলে কবিতা কি জানি না!
লিখতে লিখতে করেছি অনেক কিছু জমা,কাকে দেব জানি না!
একদিনও কি কবি হতে পারব? না প্রেমিক তাও জানি না!
নিজেকে নিয়ে কেন এত আশ্চর্য হই তাও জানি না!

তবে এটা নিশ্চিত কোনো একদিন প্রেমিক হতে পারব,
প্রেমিকাকে ফুল উপহার দিতে পারব,
একটা শাড়ি কিনে দিতে পারব,
এক জোড়া নুপুর কিনে দিতে পারব,
চিরকুট লিখতে লিখতে আমি ব্যস্ত সময় পার করব!

তবে এটি আমার জানা নয় আমি কবি হতে পারব কি না,
আমার আফসোস,কেন আমি কবি হতে পারি না
জানি প্রেমিক হওয়া সহজ কিন্তু কবি হওয়া এত সহজ না
কবি হওয়া তো দূরের কথা আমি তো প্রেমিক’ই হতে পারলাম না

আমি আগে কবি হবো না প্রেমিক হবো তা রোজই স্বপ্ন দেখি,
কেন দেখি যেখানে না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
ইচ্ছে হয় এমন স্বপ্ন না দেখাই ভালো হত্যা করে ফেলি
আবার ভাবি স্বপ্নকে যদি হত্যা করে ফেলি এটা হবে আমার বোকামি
স্বপ্ন দেখা মানুষের কাজ, মানুষ হলো স্বপ্নের বড্ড পূজারি

তাহলে আমি আবার স্বপ্ন ফিরতে পারি
প্রেমিকার সন্ধারে সাতসমুদ্র তের নদী পারি দিতে পারি
কবিতা লিখবার জন্যে উপযুক্ত শব্দ কুড়িয়ে আনতেও পারি
নির্দিষ্ট স্থানে শব্দ বসিয়ে বসিয়ে কবিতাও লিখতে পারি
তবে আমি কি পারব প্রেমিক হতে?
পারব কি প্রেমিকার জন্যে কবি হতে?

Categories
বিনোদন

চিত্রনায়ক শাহীন আলম আর নেই

এক সময়ের ব্যস্ত চিত্রনায়ক শাহীন আলম আর নেই। সোমবার দিবাগত রাত ১০টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

শাহীন আলমের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

সোমবার রাত পৌনে ১১টায় তিনি বলেন, শাহীন আলম ভাই দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার রাতে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটি কিডনিই ডেমেজ হয়ে গিয়েছিলো। সর্বশেষ তাকে লাইফ সাপোর্টে রেখে ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছিলো।

জায়েদ খান জানান, মরদেহ আজগর আলী হাসপাতাল থেকে এখন গুলশানে নেয়া হচ্ছে, শাহীন ভাইয়ের আত্মীয়ের বাসায়। এখনও জানাজা ও দাফন বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’। এটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এর পরে আরো অনেক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিতর্কিত চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে। শেষ দিকে চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন শাহীন আলম। নিজের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।

Categories
অপরাধ অর্থনীতি আন্তর্জাতিক আলোচিত সংবাদ ইসলামীক করোনা আপডেট কৃষি খুলনা-বিভাগ খেলাধুলা চট্টগ্রাম-বিভাগ জাতীয় ঢাকা-বিভাগ তথ্য প্রযুক্তি দুর্ঘটনা প্রবাসী বরিশাল-বিভাগ বিনোদন ময়মনসিংহ-বিভাগ মাসিক সম্পাদকীয় রংপুর-বিভাগ রাজনীতি রাজশাহী-বিভাগ রিপোর্টার তথ্য সাক্ষাৎকার সারা বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সাহিত্য সিলেট-বিভাগ

জগন্নাথপুরে ধসে পড়া সেতু পরিদর্শন করলেন সচিব নজরুল ইসলাম

মোঃ রনি মিয়া জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-আঞ্চলিক মহাসড়কের ধসে যাওয়া কোন্দানালা সেতু পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। শুক্রবার (৫মার্চ) দুপুরে তিনি ওই সেতু পরিদর্শন করেন।

 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালা সেতুটির গার্ডার ধসের ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো সেতুর কাজ শেষ করতে বলেছি। রানীগঞ্জ সেতুসহ সব সেতুর কাজ যথাসময়ে মান নিশ্চিত করে শেষ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এসব কাজের তদারকি আরও বাড়ানো হবে।’

 

সচিব নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গার্ডার বসানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব না। তিনি এ নিয়ে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেতুগুলোর কাজের মান নিশ্চিতে আরও তদারকি বাড়ানো হবে।

 

নজরুল ইসলাম প্রথমে কোন্দানালা সেতু পরিদর্শন করেন। পরে তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের পাশে কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতু সহ সড়কের আরও ছয় পিসি গার্ডার সেতুর কাজ দেখেন। এ সময় তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শ্রমিক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

Categories
বিনোদন

বৈরাগী মন নিবেদিতা দাস

সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)

চোখের আড়াল হতে পারো,

মনের আড়াল নয়।

মন যে আমার সব সময়,

তোমার কথা কয়।

মনকে যদি প্রশ্ন করো –

তোমার আপন কে?

মন বলবে এখন তোমার লেখা পড়ছে যে।

তাইতো মন খুঁজে বেড়ায়,

যদি তোমার দেখা পায়।

অভিমানে সরে আছো,

কে জানে কোথায়।

মন যে আমার অবুঝ বড়,

বুঝতে চায় না কিছু-

এত দূরে থেকেও তোমার,

ছাড়ছে নাকো পিছু।

জেনে বুঝে উথাল পাথাল করতে থাকে সারাক্ষণ,

কে বুঝে কি আছে ভাবছে আমার বৈরাগী মন ।

Categories
বিনোদন

নীতি কথা

 

বিমল চন্দ্র বিশ্বাস

সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)

মুখে কতো নীতিকথা শুনি,

শুনতে শুনতে প্রহর গুনি।

গুনতে গুনতে বেলাশেষে,

উল্টা কথা শুনলাম হেসে।

যারা বিক্রি করেন নীতি,

অন্তরে বিষ মুখে প্রীতি।

নীতি নামক আশা দিয়ে,

শুনি আমি বাসায় গিয়ে।

বুঝিনি আমি কি যে হল?

অনেকেই সুন্দর বার্তা পেল।

তাদের ভালোই দিনকাল,

সুন্দরও হয় সকাল বিকাল।

Categories
বিনোদন

ভালো থিয়েটার শুধু রাজধানীতে না,হবিগঞ্জেও হয়

✍️রূমা মোদক ✍️
বিশিষ্ট সাহিত্য- সাংস্কৃতিক কর্মী

সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)

আমি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত কয়েক দশক ধরে। জাতীয় দৈনিক থেকে শুরু করে লেখালেখির প্রায় সব মাধ্যমেই আমার সরব উপস্থিতি রয়েছে এবং খুব শক্তিশালী উপস্থিতি নাট্যাঙ্গনেও রয়েছে। ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ ভাটি অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ত্রাস হিসেবে পরিচিত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতির বীরত্ব গাঁথা নিয়ে আমার লেখা নাটক প্রশংসা কুড়িয়েছে সব মহলেই। মঞ্চ নাটকে অবদানের জন্য পেয়েছি বিভিন্ন সম্মাননাও। আমি এসেছিলাম নিউইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বইমেলায় যোগ দিতে।
আমার লেখালেখির বয়স খুব কম নয়; প্রায় ৩০ বছর। স্কুল জীবন থেকেই লিখছি। মাঝে সংসার ও সন্তানের জন্য স্বল্প সময়ের বিরতি। তারপর আবার লেখার জগতে ফিরে আসা। আমার থিয়েটার চর্চা রাজধানীর বাইরে। রাজধানীতেই কেবল ভালো থিয়েটার হয় এই ধারণা ভুল। আমি ও আমার সহপাঠীরা মিলে মফস্বল থেকে নাট্যবোধ সৃষ্টির কঠিন কাজটি যথাসম্ভব সফলভাবে করতে পেরেছি। ভালো নাটকের আবেদন ও আয়োজন সীমানা পেরিয়ে রাজধানীর গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। এর কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়, হবিগঞ্জের নাট্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নাটক পাগল কর্মীদের সবার। হবিগঞ্জের নাট্য আন্দোলন এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। রাজধানীর বাইরে থিয়েটারের কথা বলতে গেলে সবাই । কিন্তু আজকের এই অবস্থানে নিজেদের নিয়ে আসার পথটা খুব মসৃণ ছিল না। এখনো প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়। কিন্তু এর মধ্যেও ভালো নাটক পরিবেশনের লক্ষ্যে কর্মীদের জন্য অনিয়মিতভাবে হলেও বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে এক ধরনের সম্পৃক্ততা তৈরি হয়, যা নাটকের সঙ্গে জড়িত সবাইকে উজ্জীবিত করে।

সাহিত্য চর্চা ও নাট্য আন্দোলনের সঙ্গে একই সাথে যুক্ত থাকার পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিজস্ব সংবেদনশীলতা ও দায়বদ্ধতাও অবশ্যই আছে। জাতীয় সব কয়টি দৈনিক, ঈদসংখ্যা ও জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত লেখালেখি করি।
মঞ্চেও নিয়মিত কাজ চলছে। আমি মনে করি মঞ্চ আমার মূল চর্চার জায়গা। একজন সৃষ্টিশীল মানুষের সংবেদনশীলতা এবং তদজাত দায়বদ্ধতা কখনো ফুরিয়ে যায় না। ফলে প্রতিনিয়ত নতুন সৃষ্টির তাড়না সামনে এসে হাজির হয়।

সাহিত্য ও নাট্যজগতের সঙ্গে আমার এত দিনের সম্পৃক্ততার পেছনে নিজের তাড়নার পাশাপাশি কাজ করেছে কিছু স্বীকৃতিও। থিয়েটার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ তনুশ্রী পদক, জাকারিয়া পদকের মতো সম্মাননা পেয়েছি আমি। আমি গল্পের জন্য ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ভালোবাসার সেরা গল্প, বৈশাখী টিভি সেরা গল্পকারের পুরস্কারও অর্জন করেছি। এখনো কোনো জাতীয় পুরস্কার না পেলেও এ নিয়ে আপাতত ভাবনা নেই আমার। কারণ সবগুলো জাতীয় পত্রিকায় আমার লেখা গুরুত্বের সঙ্গেই প্রকাশ করতেছেন প্রিয় সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা। প্রতিনিয়ত পাঠকের প্রতিক্রিয়া জমা হচ্ছে। এই সব কিছুকেই বড় অর্জন হিসেবে আমি মনে করি। “যতটা পেয়েছি,সবটুকুই অর্জন”।

নিউইয়র্ক বইমেলা আমার জীবনের এক বিশাল অভিজ্ঞতা। এখানে এসে দেশের অনেক গুণীজনের সঙ্গে সৃষ্টিশীল চিন্তার বিনিময় করতে পেরেছি, যা অনেক দুর্লভ ও মূল্যবান বলে মনে করি। সঙ্গে সঙ্গে প্রবাসের নিবেদিতপ্রাণ অসংখ্য সাংস্কৃতিক কর্মীকে যেভাবে উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে দেখেছি, তা আমাকে ভীষণভাবে গর্বিত করেছে। নাটক নিয়ে বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের নাটক নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে আমার। নাটক নিয়ে নতুন কিছু করবার পরিকল্পনা সব সময়ই থাকে আমার চিন্তাভাবনায়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কাজ করার স্বপ্ন আমার। আমাদের ভাটি অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতিকে নিয়ে একটি কাজ করেছি।

কিন্তু আমি এখানে থেমে যেতে চাই না। আরও অনেক নাম না-জানা মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাঁথা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করতে চাই। এ ছাড়া এখনো রাজধানীর বাইরে নানা স্থানে সমাজের নানা শ্রেণিপেশার শ্রমজীবী নারী-পুরুষের প্রতি অনেক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। আমার উদ্দেশ্য হলো নাটক ও লেখার মাধ্যমে সমাজের নানা সংঘাতপূর্ণ বিষয় সামনে নিয়ে আসা।

Categories
বিনোদন

যন্ত্রণা : বিমল চন্দ্র বিশ্বাস

যন্ত্রণা
✍️বিমল চন্দ্র বিশ্বাস✍️

কখনো সে চাইনি কিছু,
আমায় কাছে রেখে।
যন্ত্রণা তবু ছাড়ে না যে,
চলছে ঘিরে তাকে।

একটু খানি শান্তনা দেই,
মনের কথা বলে।
তা নিয়ে সে পার করছে,
দিনটি গত হলে।

একটা ছেড়ে একটা ধরে,
যন্ত্রণা করে হাত।
এভাবেই সে পার করছে,
অতি কষ্টে দিনরাত।

Categories
বিনোদন

বাস্তবতা : পাঠান আজহার

বাস্তবতা
——পাঠান আজহার

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়-
ধানের চেয়ে বড় খই ,
নেতার চেয়ে চামচা বড়-
মানুুষ বিচার পাবে কই?

Categories
বিনোদন

শীতল অভিমান :সত্যজিৎ দাস 

শীতল অভিমান
—– সত্যজিৎ দাস

এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
মৌনতার কুয়াশায় গায়ে প্রেমহীন ধূসর চাদর জড়িয়ে,
প্রেমিকের শোকে আরো হিম হোক,
প্রেমিকার বুকের প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস…!

এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
প্রেমিক হৃদয় হিমাগার থেকে
কুড়াক কিছু শীতলতা আরো বেশি,
প্রেমিকের ওই উষ্ণ বুকের আস্তরনে প্রবল হয়ে শীতলতার বরফ জমুক।

এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
প্রেমিকা জানুক প্রেমহীনতার মানে,
প্রেমিকার তবু তৃষ্ণা বাড়ুক,
চোখে নরম নোনা জলগুলি
শীতল হয়ে গাল বেয়ে নেমে যাক।
ঠোঁটের নরমে না বলা কথার বরফ জমুক,
কথাহীন হয়ে বোবা ঠোঁট পরে থাক।

তবু তারপর…
উঁকি দিয়ে যে বসন্ত ছুঁই ছুঁই,
যেদিন,গাছের পাতায় পাতায় সবুজের ভীর,
ভীড়ের ভেতর প্রেমিকার সাজে শিমুল,পলাশ।
হলদে রোদের আবির রাঙা যেদিন সে ভোরে গান গাইবে,
বুলবুলি আর পিহু-পাপিয়া।

সেই প্রভাতের,
বসন্ত গানে একি রাস্তায় দেখা হয়ে যাবে,
চাওয়া না চাওয়ার সব মান ভেঙে না চাইতেও দেখা হয়ে যাবে।
সেদিন খোঁপায় ফুল না,
শুধু আগলা বাঁধনে খোঁপা থাকবে,
প্রেমিক সে চুলে আনাড়ি হাতের ফুল গুঁজবে।
প্রেমিকার মন এতোটুকু শুধু জানে!

আর প্রেমিক জানে,
সেদিন তার কপালের ঘাম
মুছে দিবে কোন কমলা রঙের
শাড়ী জড়ানো অচেনা সেই প্রেমিকার আঁচল,

তাই এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…

Categories
বিনোদন

কন্যা: মহুয়া চক্রবর্তী।

কন্যা
✍️ মহুয়া চক্রবর্তী।

ছোট্ট একটা লাল বিন্দু
ললাটের ওই মাঝখানে,
পিতৃ ঋণ শোধ করে দেয়
কনকাঞ্জলির মাধ্যমে।
ফেলে আসে ছেলেবেলার
পুতুল খেলার সাথী,
বিধির এই নিঠুর খেলা
চলে দিবা রাতি।
মেয়ে যদি হয় চোখের মনি
আলো করে ঘর,
কেন ছাড়ো পরের বাড়ি
শূন্য করে ঘর।
ডাকবে যখন সোনা বলে
বলবে মনি কই,
বাবা আমি তোমার মেয়ে
দানের বস্তু নই।।

সত্যজিৎ দাস,বাহুবল(সংবাদ প্রতিনিধি)