রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

করোনার সম্মুখ যোদ্ধা

Coder Boss / ৪২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:

পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশের মতই কোভিড-১৯ বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এই ব্যাধিতে ২০ জুলাই ২০২০ইং তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত-২,০৭,৪৫৩ এবং মোট মৃত্যু-২,৬৬৮। অসংখ্য মানুষ এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলেও একটি ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে এই সংক্রমণ প্রকাশ পায়।

করোনা মোকাবেলায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছে। বিশেষ করে ডাক্তার,নার্সসহ অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী, সরকারী কর্মচারী, সমাজকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকসহ আরও অনেকে নানাভাবে করোনা মোকাবেলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

গণমাধ্যম কর্মীরা করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে। বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরছেন তাদের বচন,ক্যামেরা ও কলমের মাধ্যমে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিদিন শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত করে যাচ্ছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে,ত্রাণ বিতরণ করছে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে।

পুলিশ,আর্মি, আনসার কর্মীরা সর্বদা জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছেন এবং জনগণকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।

বিশেষ করে বাংলাদেশের পুলিশকর্মীদের কথা না বললেই নয়,যারা অকুতোভয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন করোনার সময়ে আমাদেরকে সেবা প্রদান করার জন্য। অনেক সময় দেখা যায় করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু ব্যক্তির আত্নীয় স্বজনদেরকে পাওয়া যায় না। তখন পুলিশ কর্মীরা সেই মৃত্যু ব্যক্তির জানাযা ও কবর দিয়ে থাকেন অথবা শেষ কার্য সম্পন্ন করে থাকেন। তাই তারা সাহসী যোদ্ধা। প্রতিদিনই আমরা তাদের কাছে অধিকতর ঋণী হয়ে উঠছি।

অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী – যাঁরা অকুতোভয়ে, নিজের জীবন বিপন্ন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদেরকে এই ব্যাধি থেকে বাঁচিয়ে রাখতে। এরা সাহসী যোদ্ধা। প্রতিদিনই আমরা তাঁদের কাছে অধিকতর ঋণী হয়ে উঠছি।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে সীমাবদ্ধতা আরো অনেক বেশী । সরকার তার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক তদারকী করছেন। প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও সাধারণ জনগন যার যতটুকু করা সম্ভব তাই নিয়ে মানবতার সেবায় নিয়োজিত।

এই মহাদুর্যোগ একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির। অদৃশ্য এই ভাইরাস মানুষের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে অতি দ্রুত। এটি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় WHO -এর নির্দেশনা মেনে চলা। অর্থাৎ স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অতি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়া। আমরা সকলেই যদি দায়িত্বশীল হই, তবে প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় থাকতে হবে না। সর্বোপরি চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর জীবনের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। মনে রাখা দরকার যে এই ভাইরাস শরীরে ঢুঁকে পড়লেই সেটি জীবন শঙ্কার কারন হবে , অধিকাংশ মানুষই সামান্য সুশ্রুসায় সেরে উঠবেন। মাত্র শতকরা পাঁচ থেকে সাত ভাগের দরকার পড়বে হাসপাতালের চিকিৎসা। অতএব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই সংক্রমণ কমানো ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোন উপায় নেই।

আসুন আমরা সকলেই নিজে থেকে দায়িত্বশীল হয়ে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তাদের কাজটি সহজে করার সুযোগ করে দেই। তাদের ঘরেও আপনজনেরা দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন। তাঁরাও আমার আপনার মতই মানুষ আর এই ভাইরাস কোনরকম বাছবিচার করে না। আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমির চিকিৎসকদের হার না মানা মনোভাব দেখে সত্যি গর্বিত। তাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বর্তমান সংকটাপন্ন অবস্থা যারা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে সম্মুখে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন সে সব নিবেদিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী,সরকারী কর্মচারী,সমাজকর্মী,স্বেচ্ছাসেবকসহ আরও অনেকে সাহস বা স্বান্তনা দেয়ার মত ভাষা আমার জানা নেই। নিঃসন্দেহে, আমাদের এই লড়াইয়ের আসল নায়ক আপনারাই। এই মহামারী চলাকালীন সময়ে আপনাদের প্রতিশ্রুতি, সাহস, দক্ষতা, মমত্ববোধ এবং কর্মতৎপরতার উদাহরণ সত্যিই সকলের কাছে বহুল প্রশংসিত । আপনারা যে ত্যাগ স্বীকার করছেন তার জন্য আমার এবং দেশের প্রত্যেকটি মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিনিয়ত আমরা আপনাদের সুস্থতার জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি । আমাদের জীবন আপনাদের কাছে ঋণী আর তাই আমরা আপনাদের সকলের কাছে চির কৃতজ্ঞ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন