শিরোনাম
১৮টি গরু সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এসএমপি আমার কাজের প্রতি চুনারুঘাটবাসীর আস্থা আছে; ব্যারিস্টার সুমন দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

চুনারুঘাটে বেড়াতে নিয়ে এসে গৃহবধূকে হত্যা ।

Coder Boss / ২৮৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সিলেট নিউজ ডেস্কঃ
রোকসানা আক্তার মিষ্টি(২২), স্থায়ী ঠিকানা- সাং-কালামপুর, পোঃ-ষোল্লা, থানা-চাটখিল, জেলা-নোয়াখালী । বর্তমান ঠিকানা- শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। সে মৌলভীবাজারে একটি কোম্পানীতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো। মৌলভীবাজারে জনৈক আফসার@কাওছার ও তার স্ত্রী রিপা বেগমের বাসায় মিষ্টি ও অপর একজন মেয়ে সাবলেট ভাড়া থাকত। এই প্রেক্ষিতে কাওছারের সাথে মিষ্টির পরকীয় প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে কাওছার তার স্ত্রী রিপা বেগমের সাথে দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য রিপার চাপে স্বামী-স্ত্রী মিলে গত ০৬/০৮/২০২০খ্রিঃ তারিখে মিষ্টিকে চুনারুঘাট নিয়ে শ্বাসরোধ ও গলায় পান কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রাখে। ঘটনায় অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আসামী আফসার @ কাওছার পরবর্তীতে ঢাকা চলে যায়। ঢাকায় জনৈক ফারুকের দোকান থেকে কাওছার বাকীতে পণ্য ক্রয় করে। ফারুক টাকার জন্য কাওছারকে চাপ দিলে চুনারুঘাটে এসে টাকা নেয়ার জন্য বলে। ফারুক ২০/২৫ দিন পূর্বে টাকা নেয়ার জন্য চুনারুঘাটে কাওছারের বাড়িরে উদ্দেশ্যে আসে। কাওছার করাঙ্গী নদীর তীরে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে ফারুককে ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ ফারুককে উদ্ধার করে চিকিৎসার দেয়। পুলিশ ছুরিকাঘাতের ঘটনা তদন্ততকালে জানতে পারে আফসার নামের একজন লোক হাত কেটে যাওয়ার আঘাত নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। কিন্তু আফসার হাসপাতাল রেজিস্টারে কাওছার নাম লিপিবদ্ধ করিয়েছে। নাম গোপনের বিষয় স্থানীয় কিছু লোকের দৃষ্টিতে ধরা পড়ে। বিষয়টি পুলিশ জেনে তাকে গ্রেফতার করে এবং ঢাকা থেকে আগত জনৈক ফারুক হত্যাচেষ্টা উদঘাটিত হয়।

ফারুক হত্যাচেষ্টা তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে কিছু মহিলা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে যে, আফসার @ কাওছার কয়েক মাস পূর্বে তার বাড়িতে ২জন মেয়ে নিয়ে এসেছিল এবং ১জন মেয়েকে সে ইতিপূর্বে হত্যা করেছে। বিষয়টি পুলিশ বুঝতে পেরে অজ্ঞাতনামা লাশের(রোকসানা@মিষ্টি) বিষয়ে কাওছারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে আফসার@কাওছার এবং পরবর্তীতে তার স্ত্রী রিপা বেগম রোকসানা @ মিষ্টি হত্যাকান্ডের পুরো ঘটনা স্বীকার করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।

পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা তদন্ত থেকে অপর একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন