হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের তারাসই গ্রামে আজ ৯ জানুয়ারী ২০২১ ইংরেজি রোজ শনিবার হাওরে হাঁস চড়ানো কে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায় – উপজেলার তারাসই গ্রামের হাওরে হাঁস চড়ানো নিয়ে আজ দুপুরে কলিম মিয়ার ছেলের সাথে একই গ্রামের তবারক হোসেন এর ছেলে মাহমুদ হোসেনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে গ্রামের মাতব্বরদের মাধ্যমে হাতা হাতির ঘটনাটি শালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির
জন্য মাহমুদ হোসেনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। মাহমুদ হোসেনের লোকজন এই প্রস্তাব অমান্য করে হাওরের দিকে ছুটে গিয়ে কলিম মিয়ার হাঁস রাখালকে মারধোর করে।
এই ঘটনার খবর কলিম মিয়ার বাড়ির লোকজন জানতে পারলে তারা মাহমুদ হোসেনের লোকজনদের সাথে বাক বিতন্ডা হয়, এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোক জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । রাতের আঁধারে নারী পুরুষ মিলে দীর্ঘ দুই আড়াই ঘন্টা যাবত ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং দেশীয় অস্ত্র ফিকল, টেটা ছুড়তে থাকে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ – ৪০ জনের মত আহত হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ৫-৬ জনের একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছালেও অন্ধকার হওয়ায় এবং পুলিশ সদস্য কম হওয়ায় তেমন কোন ভূমিকা নিতে না পারলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল মোঃ সেলিম’র দিক নির্দেশনায় এবং বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসাইন’র নেতৃত্বে আরও ২০- ২৫ জনের একদল পুলিশের দুঃসাহসী ভূমিকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
এখনও গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এসময় ঘটনা স্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সাথে বিশেষ সহযোগিতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেখাছ মিয়া,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আগামী ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ মারুফ আহমেদ। সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মামুন মিয়া ও আরও অনেকেই।
ঘটনা স্থল থেকে ৩ মহিলা এবং এক জন পুরুষ সহ মোট ৪ জন কে আটক করেছে পুলিশ ।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন রকম লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আহত গন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।