রনি মিয়া জগন্নাথপুর, প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের কিশোরী কন্যা ৫ মাসের অন্তসত্বার খবরে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে নিরুপায় হয়ে চাপেরমূখে ওই কিশোরী গর্ভ নষ্ট করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে প্রভাবশালী পরিবারের ধাপটে অসহায় ও জিম্মি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এ পরিবার।
এদিকে ঘটনার পর থেকে কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেল তলা গ্রামের প্রতিবন্ধী কানু মিয়ার কিশোরী কন্যার সাথে প্রতিবেশী আখলুছ মিয়ার বখাটে ছেলে জামিল মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ও অবৈধ মেলামেশা চলছিল।
এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তসত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে চাপ প্রয়োগ করায় প্রভাবশালী জামিল মিয়ার পিতা আকলুছ মিয়া প্রতিবন্ধি কানু মিয়া ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে মেয়ের গর্ভ নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তার কথামত পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিভেচনা করে মেয়েটি গর্ভ নষ্ট করার জন্য ২৬ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে গর্ভ নষ্ট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে অবশেষে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
প্রতিবেশী অনেকেই জানায়, কিশোরীর পিতা একজন দিনমজুর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রতিবন্ধী। মানুষের আর্থিক সাহায্যই এ পরিবারের একমাত্র সম্বল।
এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ও দালাল হিসাবে পরিচিত আখলুছ মিয়ার লম্পট ছেলে জামিল এই মেয়েকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এই অসহায় পরিবার ছেলের আত্মীয় স্বজনের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পায়নি। এখন শুনেছি কিশোরীকে জিম্মি করে কোথায় আটকিয়ে রেখেছে এবং মেয়ের পরিবারকে ভয়ভীতিসহ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এ প্রভাবশালী পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভূক্তভোগী পরিবার এ সম্পর্কে আমাকে জানালেও পরে আর আসেনি। প্রতিবন্ধী ও গরীব পরিবারের মেয়ের সাথে এ ধরনের কার্যকলাপের কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। এ ঘটনা নিয়ে ছেলে পক্ষের লুখোচুরি ঠিক হচ্ছেনা।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি তবে অভিযুক্ত জামিলের মা জানান, আমার ছেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়নি। মেয়েটি খারাপ। সে কোথায় কি করেছে সেই ভালো জানে।