কবিতাঃ হ্যাঁ আমি সেই নারী
লেখকঃ সাংবাদিক সুমাইয়া আক্তার শিখা
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যাকে স্রষ্টার সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি বলা হয়।
আমিই সেই নারী,
যে হয় কবির কবিতা ও কাব্যের নায়িকা।
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে তোমাদের তরবারি হয়ে তোমাদেরকে যুদ্ধে জয়ী করায়।
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে তোমাদের অর্ধশক্তি।
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে তোমাদের অর্ধাঙ্গীনি।
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যে তোমাদের স্বার্থে নিজেকে চুলার আগুনে পুড়ায়!
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যে নিজের কথা ভাবে না,
তোমাদের কথা ভেবে জীবন কাটায়!
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যে কারো মা, কারো বোন, কারো স্ত্রী।
আমিই সেই সহনশীল, ধৈর্য্যধারীণী নারী,
যে তোমাদের জন্য বৃষ্টি তে ভিজে,
রৌদ্রে পুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তোমাদের সংসার রক্ষার্থে।
আমিই সেই নারী,
যে তোমাদের পুরো সংসার সামলায়।
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যে সন্তানের মঙ্গল কামনায় নিজের জীবন বিসর্জন দেয়!!
আমিই সেই নারী,
যে তোমাদের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের খেয়াল রাখতে ভুলে যায় ।
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে নিজের মঙ্গল কামনা না করে , প্রতিনিয়ত তোমাদের মঙ্গল কামনা করে যায়।
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যাকে তোমরা নারী বলে অবহেলা করো।
হ্যাঁ আমিই সেই নারী,
যে এই সংসার এর সবচেয়ে কঠিনতম দায়িত্ব গুলো তোমাদের সুখের আশায় নিজের মাথায় তুলে নেয়!!
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে তোমাদের ভালো করতে গিয়ে তোমাদের গঞ্জনা বঞ্চনার স্বীকার হয়।
আমিই সেই নারী,
যে হাজারও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কখনো হার মানে না।
হ্যাঁ আমি সেই নারী,
যে বারবার খবরের কাগজের ধর্ষণের শিরোনামে থাকতে হয়।
জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তোমার অধীনে নিজেকে তোমার নামে আত্মত্যাগ করতে হয়।
আমি তোমাকে দশ মাস দশ দিন পেটে ধারণ করে জন্ম দিয়েছি,
তুবও তুমি আমাকে ভুলে যাও,
আমি তোমার মা, আমি সেই নারী।
হে মানব সভ্যতার মহা মানব,
আমি নারী আমাকে সম্মান দাও,
আমাকে আর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে রাখনা।
ভুলে যেও না, আমি নারী,
আমি তোমার মা, আমি তোমার বোন, আমি তোমার বউ।
সংবিধানে নয়, সভা সেমিনারে নয়,
নয় কোন বিক্ষোভ মিছিলে,
আগামী প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা- মননে,
সযতনে সংরক্ষণ করব নারীর আত্মসম্মান।