শিরোনাম
আমার কাজের প্রতি চুনারুঘাটবাসীর আস্থা আছে; ব্যারিস্টার সুমন দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় এমপি রতন ও তার স্বজনদের দল থেকে বহিস্কার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী পহেল

এম এইচ লিপু মজুমদার / ৯৬৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২

সুনামগঞ্জ ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে এমপি রতন ও তার স্বজনদের দল থেকে বহিস্কার সহ দুনীর্তির অভিযোগে অভিযুক্ত সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করেন। রবিবার দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পাইকুরাটি ইউনিয়নে পরাজিত নৌকার প্রার্থী এমএমএ রেজা পহেল বলেন, এমপি রতন তার নিজ ইউনিয়ন পাইকুরাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা নৌকার বিরোধীতা করায় ও অবৈধ ভাবে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক ইকবালকে চশমা প্রতীকে বিজয়ী করিয়েছেন। এমপির নিজ কেন্দ্রে নৌকায় ভোট পড়েছে মাত্র ৫৪টি। তার চাচা আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী রুকনুজ্জামান রোকন ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়েছে ১৫১৪টি। তার ঘনিষ্ট জন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী ইকবাল পেয়েছে ৫২১ ভোট। আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছে ৫৯টি ভোট। ভাঁটগাও, থানুরা, বেখুইজুরা ও জিংলীগড়া কেন্দ্রে আমার নৌকার ভোট চশমার মাধ্যমে দিয়ে চশমাকে অবৈধ ভাবে বিজয়ী করা হয়েছে। অন্যের ফোনের মাধ্যমে এমপি নিজে প্রশাসনকে ভয় দেখিয়ে চশমাকে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে যে কোনো মূল্যে বলেছেন। আমি পাইকুরাটি ইউনিয়নের উপরে উল্লেখিত চারটি ভোট কেন্দ্রের ভোট পুনরায় ভোট গণনা করার জন্য এবং অবৈধ ভোট বাতিল
করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমপির নির্দেশে যারা নৌকার বিরোধীতা করেছেন তাদের দল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিভিন্ন নেতাকর্মীদের অন্যের ফোন দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন এমপি রতন। নেতাকর্মীদের মধ্যে ১. উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এমপির সহোদর বড় ভাই মো.
হাজি মাসুদ, ২. উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. রেহান উদ্দিন তালুকদার, ৩. উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাজাহান মিয়া, ৪. পাইকুরাটি
ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক ও
এমপির চাচা মাফিজ আলী, ৫. উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও এমপির সহোদর
ছোট মোজাম্মেল হোসেন রোকনসহ এদের সকলের বিরোধীতার কারণে
পাইকুরাটি ইউনিয়নে নৌকার পরাজয় হয়েছে। পহেল আরও বলেন, ভাটগাও কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন বিকেল চারটা পর্যন্ত ১৩শত ভোট নেওয়া হয়েছে। সেখানে ভোট গণানার পর ২০০৭টি ভোট দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন যে, আওয়ামী লীগ ও নৌকা বিরোধী এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে দল থেকে বহিষ্কার করা এবং দূর্নীতির জন্য আইনগত ব্যবস্থা করার দাবীও জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন