সত্যজিৎ দাস(স্টাফ রিপোর্টার):
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় দশম ইউপি নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ধাপে ০৪ নং সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল হোসেন চৌধুরীর নির্বাচনী গণসংযোগে দুর্বৃত্তদের হামলায় আল আমিন (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ০৮ঃ০০টার দিকে উপজেলার রাজাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার(১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে গণসংযোগ চলছিল। এসময় ভিড়ের মধ্যে আল আমিনকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
নিহত আল আমিন ০৪ নং সদর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে। কিছুদিনের মধ্যেই আল আমিন দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান নিহতের পিতা ছায়েদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন,নিহত আল আমিন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান,এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার জন্য বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং আজ বুধবার(১৯ জানুয়ারি) আল আমিনের মৃতদেহ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,একই উপজেলার ০২ নং পুটিজুরি ইউনিয়নের আব্দানারায়ন গ্রামের খন্দকার জাহির মিয়ার ছেলে খন্দকার জাকারিয়া আলম সুমন আগামী ৩১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে গণসংযোগ করে আসছিলেন এবং গত ০৩ জানুয়ারি তার মনোনয়ন দাখিল করার কথা ছিলো। কিন্তু গত ০১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ০৮ঃ০০ টার দিকে সুমন বাড়িতে যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে আসলে দুর্বৃত্তরা তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে ও তখন সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে বাহুবল উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো। খন্দকার জাকারিয়া আলম সুমন এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।