বরিশাল প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া ১নং চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চেঁচরী গ্রামের সুভাস চন্দ্র মন্ডলের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়ার অভিযোগে একই গ্রামের সান্তি রঞ্জন হাওলাদার এবং তার দুই ছেলে ও সহযোগীদের নামে আদালতে ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছেন সুভাস, মামলা নং- সি,আর ২৯/২০২২
সুভাস জানান ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় তার পরিবারের সদস্যদের সাথে রাতের খাবার খেতে বসেন তিনি। তখনই সান্তি রঞ্জন ও তার দুই ছেলে সমিত্র, সুমন এবং সান্তির ভাই পলাশ, সান্তির স্ত্রী সাবিত্রী সহ মুখোশ পরা আরো ২৫ থেকে ৩০ জন লোক তার বাসায় হামলা করে। বাড়িঘর কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে, ভাত তরকারি এবং ঘরের আসবাপত্র ব্যারে ফেলে দেয়। ঘরের ভিতরে সকলকে এলোপাথাড়ি ভাবে মাধরকরে ৪ টি মোবাইল, নগদ ৮০ হাজর টাকা, ২ ছরা স্বর্ণের চেইন ও ১ জোড়া কানের ঝুমকা লুটকরে নেয়।
সুভাসের ছেলে সুকন্ঠ জানান আমরা সবাই রাতের খাবার খেতে বসেছি তখনই সন্তি ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ঘরে হামলা করে, সকলকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটায়। ঘর কুপিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয় খাবার এবং আসবাপত্র ব্যাবে ফেলে দেয়। টাকা, মোবাইল স্বর্ণ লুটকরে নিয়ে যায়।
প্রতিবেশী পারুল রানী জানান প্রথমে মুখোশ পরা একজন এসেছে পরে সান্তি, সান্তির স্ত্রী, ছেলে মেয়ে, জামাই এবং মটোরসাইকেলে অনেক লোক এসে ঘর কুপিয়ে পিটেয়ে ভেঙ্গে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে বাসার সকলকে মেরেছে পরনের পোষাক চিরে ফেলেছে। ছোট একটা বাচ্ছা ছিলো তাকেও মেরেছে।
এই বিষয়ে সান্তি রঞ্জন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলে সান্তির স্ত্রী সাবিত্রী রানী রিসভ করে বলেন তার স্বামী সন্তান কেও বাড়িতে নেই। ভাংচুরের বিষয়ে সাবেত্রী বলেন আদালতে মামলা থাকা সত্তেও আমাদের জমিতে তারা ঘড় তুলেছে তাই আমরা ঘর ভেঙ্গেছি। আমার ছেলে সমিত্র হাওলাদার বাদি হয়ে রামপুর মৌজার আর এস ১১৮১ নং খতিয়ানের ২৫৪৯/১৫৫০/২৫৫১ দাগে কোর্ডে ০৭/০২/২০২২ তারিখ ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন মামলার স্বারক নং-১৪৭০,