জেসি বিশ্বাস,শাল্লা(সুনামগঞ্জ):
গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার প্রানীসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগীতায় দিনব্যাপি প্রানীসম্পদ প্রদর্শনী ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিভিন্ন খাতে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান না করে লোক দেখানো অনুষ্ঠান করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা তপন কান্তি পালের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রতিবছর এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও এসব বরাদ্দের কোনো হদিস পাওয়া যেত না। এবছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও) কঠোর নির্দেশনায় অনুষ্টান আয়োজন করা হলেও এমন অনুষ্টানে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
প্রানী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়,প্রানী সম্পদ প্রদর্শনী ২০২২ এর প্যান্ডেলের জন্য ৬৯ হাজার ৫শ টাকা। অনুষ্টানে আসা খামারিসহ বিভিন্ন পেশার ৩শ জন লোকের খাবারের বরাদ্দ ৬০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে ৫০ জন স্পেশাল গেস্টের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ। ভ্যাকসিন ও মেডিসিনের জন্য ৫ হাজার টাকা। অনুষ্টানে পশুপাখি নিয়ে আসার পরিবহন খরচের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণসহ বিভিন্ন খাতে মোট ২লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব বরাদ্দ দেওয়ার পরও এই অনুষ্টানটি জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়নি। কাগজে কলমে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। অনুষ্টানের ডেকরেশন বাবদ টুডে ডেকোরেটার্সের নামে ৬৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। তবে পাহাড়পুর টুডে ডেকোরেটার্সের মালিক দিজেন দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান ২৭ হাজার টাকায় শাল্লা প্রানীসম্পদ প্রদর্শনীর অনুষ্টানের প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এমনকি ৩০০জন লোকের খাবারের বরাদ্দ থাকলেও এসব খাবার দেয়া হয়নি।
৫০জন স্পেশাল গেস্টের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও এসব কোনো কিছুরই আয়োজন করা হয়নি। ভ্যাকসিন,মেডিসিন ও খামারিদের পরিবহন খরচ দেয়ার কথা থাকলেও এসব টাকা দেয়া হয়নি বলে কয়েকজন খামারিরা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব তপন কান্তি পাল জানান,’ বরাদ্দ অনুযায়ী সকল বিল পরিশোধ করেছি এবং এখানে কোনো কারচুপি করেনি। তবে যারা অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়।ডেকোরেটার্সের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,’৬৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বরাদ্দ অনুযায়ী সকল টাকা ডেকোরেটার্স মালিককে দেয়া হয়েছে’।