মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে-শিক্ষক হত্যা, হয়রানি ও নির্য়াতনের প্রতিবাদে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সদর উপজেলার শেরপুর বাজারস্থ সিটি কমিউনিটি সেন্টারে ঐ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের পক্ষে মৌলভীবাজার জেলা শাখার শিক্ষক মো. শিহাবুর রহমান লিখিত দাবী উপস্থাপন করেন।
দাবী সমূহঃ ১। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারনে- শতকরা ৫০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে। ২। শিক্ষক নির্যাতন ও হত্যার বিচার করতে হবে এবং শিক্ষকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৩। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের বর্তমান নিয়োগ বিধি বাতিল করে পূর্বের নিয়োগ বিধি বহাল রাখতে হবে। ৪। বেতন স্কেল সংশােধন করা, প্রধান শিক্ষক ও সহ-প্রধান শিক্ষকদের সরকারী স্কুলের অনুরুপ বেতন স্কেল চালু ও অন্যান্য সুযােগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। ৫। অবসরের বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
৬। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত স্টুডেন্ট কেবিনেট এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ৭। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল চালু করতে হবে। ৮। পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ৯। ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্ণিং বডি প্রথা বাতিল করতে হবে। ১০। বিতর্কিত কোন নির্বাচনে শিক্ষক-কর্মচারীদের দায়িত্বে না রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১১। প্রতি ঈদে ১০০% উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে।
১২। ঢাকা মহানগরে সর্বশেষ বেতন ধাপের ৫০% বাড়ি ভাড়া প্রদান করা এবং অন্যান্য মহানগর, শহর এবং গ্রামে সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের অনুরুপ বাড়ি ভাড়া প্রদান করতে হবে। ১৩। বদলীপ্রথা চাল রতে হবে। ১৪। অনার্স/মাষ্টার্স শিক্ষকদের এমপিও প্রদান করতে হবে। ১৫। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও প্রদান করতে হবে। ১৬। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদেরকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম-মর্যাদা দিতে হবে।
এছাড়াও আরও শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অন্যান্য দাবী সমূহ: ১। শিক্ষকবান্ধব ও যােগ্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরকে নিয়ে নতুন পে-কমিশন গঠন করতে হবে। ২। নতুন পে-কমিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রেডে কমপক্ষে ১৫০ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। ৩। বেতন ধাপ ২০ থেকে ২৫ টিতে বৃদ্ধি করতে হবে। এসময় অন্যন্য শিক্ষক-কর্মচারী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।