সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যাথায় ভোগছিলেন পলি আক্তার রুমা(১৭)। এই কারনে বড়বোন হেপি আক্তার পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন শাহপুর গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে চিকিৎসা করতে গিয়ে গত পাঁচ দিন পূর্বে বড় বোনের হাতে ছোট বোন গুরুত্ব আহত হলে প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর পরে সুনামগঞ্জ পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যায়।
এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের লোহাছড়া গ্রামে। নিহত পলি আক্তার বালিজুরী ইউনিয়নের লোহাছড়া গ্রামের নুর মিয়ার মেয়ে। আর অভিযুক্ত ঘাতক আপন বোন হ্যাপী আক্তার।
নিহতের লাশ পরিবারের লোকজন রবিবার দুপুরে নিয়ে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,শাহপুর গ্রামের কবিরাজ বাহাউদ্দীনের পরামর্শে পলি আক্তার রুমা(১৭) পেটে ব্যাথা ভাল করতে ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় প্রথমে ছোট বাঁশের লাটি দিয়ে আগাত করে এতে কোনো উপকার না হলে মোবাইল চার্জার দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুত্ব আহত করে। পরে শনিবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যাওয়ার খবর পেয়ে রবিবার তাহিরপুর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এবিষয়ে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান,এই বিষয়ে কোনো লিখত অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইননুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে কি কারনে মারা গেছেন।