দেখা জেলা সম্মেলনে
কলমে কবি মুকলেছ উদ্দিন
সেদিন কবি সাহিত্যিকের জেলা সম্মেলনে
হঠাৎ করে দেখা এক মহিলা কবির সনে।
ফুট পুঠে সুন্দর চেহারা লাল শাড়ি গায়
আলতু মাখা টুঠে আরে আরে চায় ।
হাতে সোনার চিকন চুরি বাজে ঝন ঝন
কাজল মাখা চোখে যেন হরিণী নয়ন।
কানেতে দোলে দোলন চাঁপা ফুল
মনের আনন্দে বুলবুলি খায় দোল
আছি পাশেতেই বসে কিছু বলিনি তারে
হঠাৎ করে যেন সে নিজেই জিজ্ঞাসা মোরে।
দেখলাম আমি যা ভেবেছিলাম তা নয়
কেটে গেল আমার মনের ছিল যত সংশয়।
হাসি ভরা মুখ তার মায়া ভরা মন
দুটি কথাতেই দুজন হয়ে গেলাম আপন।
এমন সুন্দর মনের মানুষ দেখিনি কখন
হাসিমুখে শুরু হল আমাদের কথোপকথন।
তার মনে নাই কোন হিংসা বিদ্বেষ
প্রশান্ত হৃদয় ভরা যেন ভালবাসায় পরিবেশ।
পড়ে ছিলাম ওস্তাদ কবি নজরুলের কবিতা
ভালোবাসা কবি লেখকের জীবনের সার্থকতা।
কবি লেখক তাকে সদায় মানবতার সেবায়
কে কি পিছু বলে কিছুই ঢুখেনা তা্র মাথায়।
কোন কবি যদি দেয় কবির মনে যন্ত্রণা
সে কবি হতে পারে কবির ইতিহাস বলে না।
কবি দুঃখ যন্ত্রণার বাজারে
ভালবাসার হাসি দেয় চুড়ে
কবি করে স্রষ্টার ভালোবাসার চিন্তা
ভুলে থাকে যত যন্ত্রণা আঘাত ব্যাথা।
অনেক কথোপ কথনের পরে বিদায়ের বেলায়
দুজন দুজনাকে হাত নেড়ে বিদায় জানায়।
সে সময় একেবারেই শূন্য হাত ছিল আমার
বঙ্গবন্ধুর ডাকে ওরা মুক্তিযোদ্ধা বইটি দিলাম উপহার।
আবার তাকে দোয়া করিলাম হাত নেড়ে
মহান আল্লাহ হেফাজত করেন যেন তারে।