শিরোনাম
ধর্মপাশায় সংবাদ সম্মেলন করে মোঃ আবুল বাশারের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীতা ঘোষণা মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাতের শ্রীমঙ্গলে জাতির পিতার ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত সালাতুত তাসবিহ গোনাহ মাফের সর্বোত্তম ইবাদাত! চুনারুঘাটে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার সিলেটে হিন্দু রেস্তোরাঁতে ছাত্রলীগের হামলা ৭ এপিবিএন এর তৎপরতায় ৩,৫১,১৬০ টাকা ফিরে পেলেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ২০০ সাইক্লিং সেঞ্চুরি সম্পন্ন করলেন কুলাউড়ার ‘সুপ্রিয়’ মানব পাচার চক্রের মূল হোতা শাহীন ও সাইদুর ৭এপিবিএন এর হাতে আটক সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করেছেন;ব্যারিস্টার সুমন
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ

হাফিজ মাছুম আহমদ,( দুধরচকী) / ২১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩

সিলেট নিউজ ডেস্কঃ 

রোজাদার সূর্যাস্তের পর যে পানাহারের মাধ্যমে রোজা ভাঙে তাকে ইফতার বলে। রমজানের অন্যতম সুন্নত হলো ইফতার। ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। এ ছাড়া ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া করা হয়, সেই দোয়া মহান আল্লাহর দরবারে গুরুত্বের সঙ্গে কবুল হয় বলে হাদিস শরিফে উল্লেখ রয়েছে।
খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় বস্তু দিয়ে ইফতার করা ভালো। আর যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে যেকোনো হালাল খাদ্য দিয়ে, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।

রাসুলে করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা যখন ইফতার করো, তখন খুরমা বা খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কেননা খুরমা বা খেজুরের মধ্যে বরকত রয়েছে, আর যদি খুরমা বা খেজুর পাওয়া না যায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা ভালো, কেননা পানি পবিত্রকারী। হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ দিয়ে ইফতার করার হুকুমও বর্ণিত রয়েছে।

পবিত্র এই মাসে আল্লাহর বান্দারা পারস্পরিক উত্তম আমলের প্রতিযোগিতা করে। রোজাদারকে ইফতার করানোও অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)

সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, পানিমিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তিসহকারে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।

খাবার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। নিমন্ত্রিত ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। যেমনটি নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৪) মহান আল্লাহ পাক যেন মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত কথা গুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করেন, আমিন।

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

বিভাগের খবর দেখুন