নিজস্ব প্রতিবেদক:
” বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম,আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম ”
বিশ্বজুড়ে ভাইরাল এই ‘বাদাম বাদাম গান’। আর এই ‘বাদাম গান’-এর স্রষ্টা রাঢ় বাংলার-ই এক বাদাম বিক্রেতা। উনার নাম ভূবন বাদ্যকর।
ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই ‘বাদাম গান’ শুনেছেন,দেখেছেন ও ভূবন বাবুর বাদাম বিক্রির গানে রিমিক্স ভার্সন সহ বিভিন্ন মিউজিক এ্যাড করে কুড়িয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ লাইক।কিন্তু কেউই ভূবন বাধ্যকরকে ক্রেডিট দেন নি।
ভাইরাল হয়ে যাওয়া সেই ‘বাদাম গান’-এর স্রষ্টা ভূবন বাদ্যকরের বাড়ি ভারতের বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুরি গ্রামে।
“বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম…” এই গানের কথায় সুরে মজেননি এমন মানুষ হাতে গোনা। ‘মানিকে মাগে হিথে’-এর মতোই আট থেকে আশি বুঁদ এই ‘বুবু ভাজা বাদাম’-এর ছন্দে। ফেসবুক, ইউটিউব, রিলস খুললেই বেজে উঠছে এই গান।
স্বাভাবিকভাবেই নিজের লেখা,সুর দেওয়া ও গাওয়া ‘বাদাম গান’ এহেন বহুল প্রশংসিত হতেই খুশির ছোঁয়া বাদাম বিক্রেতা ভূবন বাদ্যকরের গলায়। বললেন, “মোবাইলে আমার গান দেখছে সবাই। দেখা হলেই সবাই এসে আমার গানের প্রশংসা করে যাচ্ছেন। ভালোই লাগছে।” গানের কারণে ইতিমধ্যেই সেলিব্রিটি তিনি। এলাকাবাসী সারাক্ষণ-ই ভিড় জমাচ্ছেন তাঁর বাড়িতে। তিনি যখন যে গ্রামে বাদাম বিক্রি করতে যাচ্ছেন,সেখানেই তাঁকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নিজের ভাইরাল কীর্তি নিয়ে ভূবন বাদ্যকর হাস্যরসে ভারতীয় গণমাধ্যম Z ২৪ ঘন্টাকে বলেন, “হ্যাঁ, আমিই লিখেছি,আমারই তৈরি। আমারই সুর, আমারই গলা। চিন্তাভাবনা করতে করতেই করেছি।” তিনি জানান, “এর আগে বাউল গান করেছি। এখন আমি ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাদাম ফেরি করি। সেই বাদাম কী করে বিক্রি করা যায়,সেই থেকেই ভাবনাচিন্তা। তারপরই গান লেখা।”
ভূবন বাদ্যকর জানালেন,’ গান শুনে বহু মানুষই বাদাম কিনতে আসছেন। কেউ ৫ টাকার বাদাম কিনছেন,কেউ ১০ টাকার। বিক্রি এখন ভালোই চলছে।আগে পায়ে হেঁটে বাদাম ফেরি করতাম। কিছুদিন বাইসাইকেলেও করেছি। এখন ১,৫০০০ টাকা দিয়ে একটি ‘গাড়ি’ কিনেছেন। তাতে করেই বাদাম ফেরি করে বেড়াই ‘।