আহমদ হাসানঃ
প্রতিটি রাষ্ট্রে যেকোন সময় বড় দুর্যোগের সামনে পতিত হচ্ছে ভবিষ্যতে ও হবে এটা প্রাকৃতিক হোক বা মানবসৃষ্ট হোক।
সেই সময়ে আপনার আমানত দ্বারা নির্বাচিত সত্যমিথ্যা প্রতিশ্রুতিদানকারী জনপ্রতিনিধিদের আসল রুপ চেনা যায়- কেউ গর্ত থেকে আকাশচুম্বী স্বপ্ন দেখাবে, কিন্ত বের হবে না আকাশ ভেঙ্গে পরে যাবার ভয়ে। বন্যার সময় উচু বিল্ডিং আশ্রয় নিতে দেখাবে কিন্তু দেখতে আসবে না নৌকা ডুবে মরে যাবার ভয়ে। যেমন করোনাকালে বলা হয়েছে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন সাথে সাথে সেই উপদেশ মান্য করে তারা ডুকে গেল গর্তে!! এটার মত সহজে কখনো অন্য উপদেশ মান্য করেনি কারন অন্য উপদেশে নিজের জীবন ঝুঁকিতে এমন কিছু ছিল না। তাইতো বলি কে নেয় কার খবর!!
আর কিছু জনপ্রতিনিধি আছে অপেক্ষা করে এমন দুর্যোগ আসুক সে যেন কম সময়ের মধ্যে তার নাম লেখাতে পারে কোটিপতির তালিকায়!!দেখলাম এই ছোট্র বয়সে এদেশের রাজনীতিবিদদের কত ধান্ধা!!
নিজস্ব কিছু তেলবাজ দ্বারা অল্প করলে আর লাগেনা এই তেলুর দল তা দিয়ে মাথায় তেল দিতে থাকে।
নেতা ও নাক ডাকিয়ে ঘুমাতে পারেন তারা ও পকেট গরম করে ফেললো।
কাউকে দোষারোপ করার কোন উপায় নেই সব আমাদের দুর্ভাগ্য, কর্মের ফল ও বলতে পারেন।
আমি শেষ করব লেখাটি “নন্দলাল” কবিতার শেষের পঙক্তি গুলো দিয়ে।
“নন্দ বাড়ির হ’ত না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি;
চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি,
নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে ‘কলিশন’ হয়;
হাঁটিতে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি-চাপা-পড়া ভয়,
তাই শুয়ে শুয়ে, কষ্টে বাঁচিয়ে রহিল নন্দলাল
সকলে বলিল- ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক্ চিরকাল।’
লেখকঃ আহমদ হাসান
শিক্ষার্থী, সিলেট এম.সি কলেজ।