বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে হঠাৎ দ্বন্দ্বে জড়ান। পরে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও,এনিয়ে ২০২০ সাল থেকে আদালতে রয়েছে মামলা।
জানযায়,সম্প্রতি উপজেলার ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প’ নামের ৩৯ কোটি ৬লাখ ৫৮ টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্দ পান উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ এনে পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে এমপি লিখিত অভিযোগ দেন। গত ২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এমপি নিজে স্বাক্ষর করে ওই অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগটি সরেজমিন তদন্ত করতে মঙ্গলবার বিকেলে (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বনাথে যাবেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান। ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলকে তদন্তস্থলে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধও করা হয়েছে।
এনিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অনুসারিদের ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তদন্তস্থলে উভয় পক্ষ উপস্থিত থাকলে বড় ধরণের সংঘর্ষেরও আশঙ্খা করছেন অনেকে। তবে তদন্তকারি কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক অভিযোগের প্রমাণাদি সংগ্রহ করতে ব্যস্ত রয়েছেন এমপির পক্ষের লোকজন। অন্যদিকে এমপির বিরুদ্ধেও অভিযোগের প্রমান সংগ্রহের কাজ করছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন।
এদিকে গত ২০২০সালের ১০ আগস্ট উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্তকরা এমপির গাড়িতে ঢিল মারা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। তাই এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পুরোনো এই দ্বদ্ধ আবারও নাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি মোকাব্বির খান বলেন, আমি উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। উপজেলার অনেক মানুষের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মন্ত্রীর কাছে ওই অভিযোগটি দিয়েছেন। তাই অভিযোগকারিরা সেটা প্রমান করবেন বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, ঝামেলা হওয়ার কিছু নেই। তবে, কেউ যদি ঝামেলা করতে চায় তার জবাব দেয়া হবে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানান, বিষয়টি তাদের নজরে রেখেছেন।
। উপজেলার অনেক মানুষের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মন্ত্রীর কাছে ওই অভিযোগটি দিয়েছেন। তাই অভিযোগকারিরা সেটা প্রমান করবেন বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, ঝামেলা হওয়ার কিছু নেই। তবে, কেউ যদি ঝামেলা করতে চায় তার জবাব দেয়া হবে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানান, বিষয়টি তাদের নজরে রেখেছেন।